শুক্রবার গাজা উপত্যকায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি একটি বার্ষিক প্যালেস্টাইনপন্থী সমাবেশে প্রথমবার নজিরবিহীন বক্তৃতা দিয়েছেন। এই ঘটনা গাজা শাসনকারী ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের ও ইরানের মধ্যে ঐক্যের একটি বিরল প্রদর্শন বলে মনে করছে পশ্চিমারা।
গাজা শহরের একটি ফুটবল স্টেডিয়ামে হামাস এবং ছোট ছোট ইসলামী প্রতিরোধ গোষ্ঠীর শত শত সমর্থক জড়ো হয়। সমাবেশে ইরানি প্রেসিডেন্ট ফিলিস্তিনিদের ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। ফিলিস্তিনে রাইসির আগমণ ইঙ্গিত দেয়, সিরিয়ায় বিধ্বংসী গৃহযুদ্ধের জন্য হামাস ও ইরানের মধ্যকার সম্পর্কে যে ফাটল ছিল তার অবসান ঘটেছে।
রাইসি জেরুজালেম দিবস বা আল-কুদস দিবস উপলক্ষ্যে ফিলিস্তিনিদের জনসমাগমে হাজির হন। সম্প্রতি জর্দানের আকাবা ও মিশরের শারম আল-শেখে ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সমালোচনা করে রাইসি বলেন, এসব বৈঠক করে কোনো লাভ হবে না। ইসরায়েল কখনই ফিলিস্তিনে শান্তি আনতে দেবে না।
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। তবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনি দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান প্রত্যাখ্যান করেছেন।
অপরদিকে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের পক্ষে বিপক্ষে সমর্থন যাচাই করতে ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ ইসরায়েলের আরব নাগরিকসহ সমগ্র ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য একটি অবাধ গণভোটের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তার মতে, ভবিষ্যতে ইসরায়েলের পাশাপাশি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলেও ইসরায়েলি দখলদারিত্বকে সমর্থন করা হবে না।
১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের আগে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) ইরানের বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখেছিল। বিপ্লবের পর ইরানের নতুন সরকার ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে ফিলিস্তিনিদের সমর্থন দেয়। এর প্রতীক হিসেবে তেহরানে ইসরায়েলি দূতাবাস ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের কাছে হস্তান্তর করে।
সংবাদ সূত্রঃ এপি