আফগানিস্তানে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির জন্য রাশিয়া, চীন, ইরান ও পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে। এই চার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৃহস্পতিবার উজবেকিস্তানের সমরকন্দে এক বৈঠকে আলোচনা শেষে এই মতামত ব্যক্ত করেন। আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
ওই চার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা একমত হয়েছেন, ২০২০ সালে আফগানিস্তান থেকে তড়িঘড়ি করে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এর পরই দেশটির যে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররাই দায়ী।
চার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আফগানিস্তানের ভূখণ্ড থেকে উদ্ভূত নিরাপত্তা হুমকির বিষয়েও কথা বলেছেন। তারা দেশটির অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার স্বার্থে কাবুল সরকারের সঙ্গে একটি ঐক্যবদ্ধ, সুসংহত আঞ্চলিক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে এবং মানবিক সংকট এড়াতে সম্মত হন।
এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নেতারা আফগানিস্তান এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে মার্কিন সামরিক অবকাঠামো মোতায়েন চান না। তারা মনে করেন এটা এখন অগ্রহণযোগ্য।
২০২১ সালের ১৫ আগস্ট পশ্চিমা-সমর্থিত ঘানি সরকারের পতন ঘটে এবং বিদ্রোহীরা কাবুলে প্রবেশ করে। তারা দেশটি খুব দ্রুত নিজেদের কব্জায় নিতে সক্ষম হয়। এটা করা তাদের জন্য সহজ হয়, কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০২০ সালে সেনা প্রত্যাহার করতে সম্মত হয়েছিল।
কাবুলের নতুন সরকার ক্ষমতায় বসার পর থেকে আফগানিস্তান একটি গভীরতর অর্থনৈতিক ও মানবিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। এই অবস্থায় বৈশ্বিক দাতাদের সহায়তায ব্যাপক হ্রাস পাওয়ায় খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে দেশটি। নগারিকদের হাতে নগদ অর্থের কোনো সংস্থান নেই।
তাছাড়া নতুন সরকারের নির্দেশনা মতে, শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে নারীদের প্রবেশাধিকারের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এ কারণে বিশ্ব শক্তি কাবুল সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করেছে এবং সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে। তবে জাতিসংঘ জানিয়েছে, আফগানিস্তানের অসহায় জনগণকে বিশ্বনেতাদের ভুলে গেলে চলবে না।
সংবাদ সূত্রঃ টিআরটি ওয়ার্ল্ড