এবার জাপান দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ঘোষণা দিয়েছে। দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র বিকাশ ও ব্যাপক উত্পাদন করতে ৩৮০ বিলিয়ন ইয়েন বা ২.৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হবে, দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছে। জাপান ২০২৬ সালের প্রথম দিকে এ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করতে চায়। দেশের শীর্ষ প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজের সঙ্গে সরকার এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
খবরে বলো হচ্ছে, চীনের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা বাড়ছে। এ কারণে অদূর ভবিষ্যতে যাতে জাপানকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের সংকট না হয়, সেজন্য ওই প্রতিরক্ষা চুক্তিতে যাচ্ছে তারা। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ভূপৃষ্ঠ, সমুদ্র এবং আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করবে। এটি হবে মিতসুবিশির টাইপ-১২ ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নত সংস্করণ। মূলত দূরবর্তী দ্বীপগুলোর প্রতিরক্ষার জন্য হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হবে।
টাইপ-১২ হলো ভূমি থেকে জাহাজে নিক্ষেপযোগ্য গাইডেড মিসাইল। এগুলোকে হাইপারসনিক গ্লাইডিং ক্ষেপণাস্ত্রে রূপ দেওয়া হবে, যার নমুনা ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে। ব্যাপক উৎপাদন এই বছর থেকেই শুরু হবে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে উৎপাদন ধীরে ধীরে বাড়ানো হবে। জাপানে সীমিত ভূমির কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো পরীক্ষা করার পরিকল্পনা রয়েছে।
ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পরিকল্পনাটি একটি নতুন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। জাপান গত ডিসেম্বরে বলেছিল, চীন, উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি রোধ করতে তারা সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে চায়।
খবরে বলা হচ্ছে, জাপান দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করছে এবং সম্প্রতি তাইওয়ানের সঙ্গে জরুরি পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষা হিসেবে দূরবর্তী দ্বীপগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিট স্থাপন করেছে। যদিও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় ওকিনাওয়ার বাসিন্দারা এই পদক্ষেপ নিয়ে বিভক্ত।
প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, জাপান ২০২৬ সাল থেকে মোতায়েনের জন্য ১৬০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম ৪০০ মার্কিন তৈরি দূরপাল্লার টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রও কিনবে। আগামী ৫ বছরে সামরিক ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ করে ৪৩ ট্রিলিয়ন ইয়েন বা ৩১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার করার পরিকল্পনা করেছে তার সরকার।
সংবাদ সূত্রঃ এপি