পর্তুগালের রাজধানীতে এক কক্ষের ভাড়া দেড় লাখ টাকা!

পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে এক বেডরুমের একটি বাসা নিতে নাগরিকদের ১ হাজার ৩৫০ ইউরো বা দেড় লাখ টাকা গুনতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বাসস্থান সংকট ও অসহনীয় বাসা ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ করেছেন।

আয় অনুযায়ী দেশটিতে বসবাসরত নাগরিকদের লিসবনে থাকার মতো একটি বাসা মিলছে না। এমন পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই গত শনিবার রাস্তায় নামেন হাজারও মানুষ। চলমান সংকট কতটা প্রকট, সেই চিত্র উঠে এসেছে তাদের হাতে থাকা ব্যানার, ফেস্টুন আর স্লোগানেই।

বিক্ষোভে একরকম অচল হয়ে পরে লিসবন। এয়ারপোর্টেমুখী সড়ক থেকে শুরু করে নগরের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ ছিল। বিক্ষোভকারীদের দাবি, মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে বাসা ভাড়া ৬৫ শতাংশ বেড়ে যাওয়া প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া স্থানীয় এক নারী বলেন, ‘সরকার হয়তো বুঝতে পারছে না আজ আমরা কেন রাস্তায় নেমেছি, আর সংকট ঠিক কতটা প্রকট। এটাকে সামাজিক জরুরি অবস্থা বললেও ভুল হবে না। কর্তৃপক্ষ রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ীদের লাভের কথাই ভাবছে।’

আরেক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘এটা অস্বীকার করার কি কোনো সুযোগ আছে যে আমরা কেমন পরিস্থিতির মধ্যে আছি। শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে অবসরপ্রাপ্ত নাগরিকদের বাজেট অনুযায়ী লিসবনে একটি বাসা পেতে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছে। এ ছাড়া সবাই ট্যুরিস্টদের কাছে বাসা ভাড়া দিতেই আগ্রহী।’

এক বেডরুমের একটি বাসা পেতে গড়ে লিসবনের নাগরিকদের ব্যয় করতে হচ্ছে ১ হাজার ৩৫০ ইউরো বা দেড় লাখ টাকা। যেখানে লিসবনের শতকরা ৫০ শতাংশ নাগরিকের আয় ১ হাজার ১০০ ইউরোর কম। এমন পরিস্থিতিতে শুধু ঘোষণা নয়, সরকারের সব পদক্ষেপের যথাযথ বাস্তবায়ন চান নাগরিকরা।