ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে শেষপর্যন্ত বিচারবিভাগের সংস্কার পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি এই ঘোষণা দিয়েছেন ২৭ মার্চ, সোমবার সন্ধায়।
সোমবার সংক্ষিপ্ত এক ভাষণে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ব্যাপক অস্থিরতার কারণে দেশের বিচার ব্যবস্থাকে সংশোধন করার পরিকল্পনা পরবর্তী সংসদ অধিবেশন পর্যন্ত স্থগিত করতে সম্মত হয়েছেন তিনি।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমি একটি সমাধান খুঁজে বের করার জন্য সম্ভাব্য সব ধরনের চেষ্টা করে যাব। আমরা একটি সঙ্কটের শীর্ষে রয়েছি যা আমাদের মৌলিক ঐক্যকে হুমকির সম্মুখীন করছে।\’
ইসরায়েলের নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গভির বিচারবিভাগের সংস্কার বিলের কট্টর সমর্থক ছিলেন। এর আগে তিনি এই বিল স্থগিত করার বিরোধিতা করেছিলেন। তবে সোমবার ব্যাপক গণবিক্ষোভের মুখে তিনি নিজের অবস্থান পরিবর্তন করতে সম্মত হয়েছেন।
এর আগে রোববার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টকে বরখাস্ত করেন নেতানিয়াহু। গ্যালান্ট বিতর্কিত বিচারবিভাগীয় সংস্কারের বিরোধিতা করেছিলেন। গ্যালান্টকে বরখাস্ত করে বিপাকে পড়ে যান ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। কারণ এই খবর শুনে ইসরায়েলজুড়ে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাজপথে নেমে আসে।
সোমবার, ইসরায়েলের বৃহত্তম ট্রেড ইউনিয়ন একটি সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। এর ফলে চিকিৎসা পরিষেবা থেকে শুরু করে ম্যাকডোনাল্ডস রেস্তোরাঁর খাবার থেকে ফ্লাইট পর্যন্ত সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েলের ডানপন্থী সরকার সম্প্রতি দেশটির বিচারব্যবস্থা সংস্কারের পরিকল্পনা করে। এর ফলে সুপ্রিম কোর্টের যে কোনো সিদ্ধান্ত সংসদে ভোটের মাধ্যমে বদলে দেওয়া যাবে। এছাড়া নেতানিয়াহুর সরকার বিচারক নিয়োগের ক্ষমতাও সংসদের হাতে দেওয়ার প্রস্তাব করেছে। ইসরায়েলিরা সরকারের এই পরিকল্পনার ব্যাপক বিরোধিতা করছে। তাদের অভিযোগ, এই সংস্কারের ফলে দেশটির গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়বে।
সংবাদ সূত্রঃ এনবিসি নিউজ