ক্রাইমিয়ার কাছে ড্রোন উড়ানো উত্তেজনা বাড়ানোর ঝুঁকি তৈরি করবে বলে রাশিয়া ওয়াশিংটনকে সতর্ক করেছে।
কৃষ্ণ সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের একটি নজরদারি ড্রোন রাশিয়া ধ্বংস করে দেওয়ার পরদিন দেশ দুটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও সামরিক প্রধানরা টেলিফোনে কথাবার্তা বলেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ইউক্রেইনে রাশিয়ার আক্রমণ নিয়ে কয়েক দশকের মধ্যে দুই দেশের সম্পর্ক সবচেয়ে তলানিতে নামার পর বুধবার বিরল এই ফোনালাপ হয়।
ওয়াশিংটনের শীর্ষ জেনারেল জানিয়েছেন, রাশিয়ার জঙ্গি বিমানের বাধার পর মার্কিন নজরদারি ড্রোন বিধ্বস্ত হওয়ার মাধ্যমে মস্কোর বাড়তে থাকা আক্রমণাত্মক আচরণ প্রদর্শিত হয়েছে।
অপরদিকে রাশিয়া ওয়াশিংটনকে সতর্ক করে বলেছে, ক্রাইমিয়ার কাছে ড্রোন উড়ানো উত্তেজনা বাড়ানোর ঝুঁকি তৈরি করবে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনকে বলেছেন, ক্রাইমিয়ার উপকূল দিয়ে আমেরিকার ড্রোন ফ্লাইট পরিচালনা ‘উস্কানিমূলক আচরণ’ এবং এতে ‘কৃষ্ণ সাগর অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে পারে।”
এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এ ধরনের উত্তেজনা বৃদ্ধিতে রাশিয়ার কোনো আগ্রহ নেই কিন্তু ভবিষ্যতে (তারা) যথাযথ অনুপাতে প্রতিক্রিয়া দেখাবে।”
২০১৪ সালে রাশিয়া তার অংশ করে নেওয়ার আগ পর্যন্ত ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ ইউক্রেইনের অংশ ছিল।
শোইগুর সঙ্গে কী আলাপ হয়েছে তার বিস্তারিত জানাতে রাজি হননি অস্টিন। কিন্তু এক সংবাদ সম্মেলনে আবার বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইন যেখানে অনুমোদন করে সেখানে উড়া অব্যাহত রাখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এর পাশাপাশি রাশিয়ার আকাশযানগুলোকে নিরাপদ ও পেশাদারি ধরন বজায় রাখতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন তিনি।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই দেশের সঙ্কটের সময় সামরিক লাইনে যোগাযোগ করাসহ ‘সর্বোচ্চ দায়িত্ব নিয়ে কাজ করা’ উচিত।
পেন্টাগনের সংবাদ সম্মেলনে অস্টিনের পাশে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান মার্ক মিলি উপস্থিত ছিলেন। মিলি পৃথক এক কলে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভের সঙ্গে কথা বলেছেন।
সংবাদ সূত্রঃ রয়টার্স