পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু-কাশ্মিরের সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষিকা ও ছাত্রীদের হিজাব আবশ্যক করা হয়েছে। গত সোমবার এ বিষয়ক বিজ্ঞপ্তি জারি করে সেখানকার শিক্ষা বিভাগ। তারা বলছে, অভিভাবকদের পরামর্শের ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজাদ কাশ্মিরের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা মহাপরিচালকের পক্ষ থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যে সব প্রতিষ্ঠানে সহ-শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে সেখানে ছাত্রী ও শিক্ষিকারা হিজাব সংক্রান্ত নির্দেশনা সঠিকভাবে পালন করছেন না। গৃহীত নির্দেশাবলির অধীনে ছাত্রী শিক্ষিকাদের হিজাব সংক্রান্ত নির্দেশনা কঠোরভাবে পরিপালন করতে বলা হচ্ছে। এ নির্দেশনা লঙ্ঘন করা হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজাদ কাশ্মিরের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা মন্ত্রী দেওয়ান আলি খান চুঘতাই এ বিজ্ঞপ্তি জারির কথা স্বীকার করে বলেছেন, কয়েকটি কারণে আমরা এ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছি। প্রথমত আমরা এর মাধ্যমে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (স.) হুকুম যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করছি। দ্বিতীয়ত এ ব্যাপারে কিছু অভিভাবক অভিযোগ দিয়েছিলেন। ফলে আমরা এর ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি।
অভিভাবকদের অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, কিছু এলাকায় ছাত্রী কম হওয়ার কারণে সে সব এলাকায় আলাদাভাবে মেয়েদের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়নি। ফলে ওইসব এলাকায় তারা ছেলেদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ভর্তি হয় এবং সহশিক্ষা ব্যবস্থার অধীনে অধ্যয়ন করে।
তবে অভিভাবকদের কিছু অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে, আমরা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য ড্রেস কোড নির্ধারণ করেছি। এক্ষেত্রে ছাত্রী ও শিক্ষিকাদের ড্রেস কোডে হিজাব বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এটা আমাদের জোর করে নেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত নয়। বরং অভিভাবক ও শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করেই আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর এ নির্দেশনা সবাই মেনে নিয়েছে। কারণ এখানকার মানুষ এমনিতেই ধার্মিক। ফলে এটি কারও জন্য তেমন কোনো সমস্যার সৃষ্টি করবে না।
সংবাদ সূত্রঃ ডন