২৬ লাখ জনসংখ্যার দেশ মলদোভা ইউরোপের সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলোর অন্যতম। ইউক্রেন-রুশ যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব যে দেশগুলোর ওপর সবচেয়ে বেশি পড়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম হলো পূর্ব ইউরোপের মলদোভা।
সেখানে জ্বালানির সংকট এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। বাকি ইউরোপের মতো তাদের দেশেও রুশ জ্বালানির সরবরাহ কমেছে, ফলে দাম বেড়েছে কয়েক গুণ।
রোমানিয়া এবং ইউক্রেনের মাঝে অবস্থিত ছোট এই দেশটির জনগণ এখন দ্বিমুখী চাপে পড়েছে। প্রথম চাপ আসছে তাদের ইউরোপপন্থী সরকারের কাছ থেকে। আর একইসাথে চাপ তৈরি হয়েছে রুশপন্থী বিরোধী দলগুলোর তৎপরতার কারণে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে মলদোভার প্রেসিডেন্ট মাইয়া সানডু কয়েকবার অভিযোগ করেছেন রাশিয়া তার সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে তার দেশের প্রবেশের আকাঙ্ক্ষা নস্যাৎ করে দিচ্ছে।
সানডু বলেন, কেউ কেউ চাইছে জিসিনাওতে একটি পুতুল সরকার প্রতিষ্ঠিত হোক। যারা চাকরের মতো ক্রেমলিনের স্বার্থ রক্ষা করবে।
রাশিয়া অবশ্য চক্রান্ত করার এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের কথা– মলদোভার সরকার তাদের নিজেদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যর্থতা থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে মনগড়া এসব গল্প সাজাচ্ছে।
মলদোভা ন্যাটো সামরিক জোটের সদস্য নয়, কিন্তু গত বছর জুন মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন একই দিনে ইউক্রেনের সঙ্গে মলদোভার সদস্য পদের আবেদনপত্রও গ্রহণ করে। তার অর্থ— ইউরোপীয় এই জোটে ঢোকার পথ অনেকটাই খুলে গেছে মলদোভার জন্য।
এ সপ্তাহের শুরুর দিকে মলদোভার প্রেসিডেন্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে দেখা করেন। ওই সময় বাইডেন মলদোভার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সাহায্যের অঙ্গীকার করেন।
মলদোভার প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রায় সবটাই আসত রাশিয়া থেকে। কিন্তু ইউক্রেনকে সমর্থনের জন্য শাস্তি দিতে গ্যাসের সরবরাহ অর্ধেক কমিয়ে দিয়েছে মস্কো।
শুধু তাই নয়, ইউক্রেনের বিদ্যুৎ গ্রিডের ওপর রাশিয়ার ক্রমাগত হামলার প্রভাব পড়ছে মলদোভার ওপরও।
২০২৩ সালে মলদোভাতে স্থানীয় নির্বাচন, ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।