সিরিয়াকে একটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিতে সম্মত হয়েছে ইরান। সিরিয়ার ওপর ইসরাইলের বিমান হামলা বেড়ে যাওয়ায় দু’দেশের সামরিক কর্মকর্তারা আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে ইরানের জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা আইআরআইবি জানিয়েছে।
আইআরআইবি নিউজ এক খবরে বলেছে, সিরিয়াকে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ও ইলেকট্রনিক যুদ্ধের সরঞ্জাম সরবরাহ করতে দুদেশের কর্মকর্তারা সমঝোতায় পৌঁছেছেন।
তবে এ সংক্রান্ত চুক্তির বিস্তারিত বিবরণ এখনো প্রকাশ করা হয়নি। সম্প্রতি সিরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী লে. জেনারেল আলি মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন উচ্চপদস্থ সামরিক প্রতিনিধিদলের তেহরান সফরের সময় এ সংক্রান্ত চুক্তি সই হয়।
আইআরআইবি নিউজের খবরে আরও বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বহু বছরের যুদ্ধের পর সিরিয়াকে তার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যব্স্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। এছাড়া, দেশটির যুদ্ধবিমানগুলোর জন্য নিখুঁত বোমাও প্রয়োজন। আমরা হয়তো শিগগিরই সিরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার জন্য খোরদাদ-১৫ -এর মতো ইরানি রাডার ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সিরিয়াকে সরবরাহ করতে দেখব।
ইরান ২০১৯ সালের জুন মাসের খোরদাদ-১৫ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্মোচনা করে। এই ব্যবস্থা ১৫০ কিলোমিটার দূর থেকে যেকোনো যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধ ড্রোন শনাক্ত এবং সেগুলোকে ১২০ কিলোমিটার দূরেই ধ্বংস করে দিতে সক্ষম। এছাড়া, এই ব্যবস্থা রাডার ফাঁকি দেয়ার লক্ষ্যে নির্মিত যেকেোনো আকাশযানকে ৮৫ কিলোমিটার দূরে শনাক্ত করে ৬৫ কিলোমিটার দূরেই ধ্বংস করে দিতে পারে।
গত সপ্তাহে আইআরআইবি\’র এক প্রতিবেদনে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে বিমান হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করা হয়েছিল। তবে তেলআবিরের দাবি, সিরিয়ান এবং ইরানী কর্মকর্তাদের সঙ্গে ড্রোন তৈরিতে জড়িত লেবাননের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সদস্যদের বৈঠক লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় তারা।
এদিকে হামলার পরদিন রোববার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিমান হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে। তবে তারা কোনো ইরানি কর্মকর্তা হতাহতের কথা উল্লেখ করেনি। ওই হামলার পর নিন্দা জানিয়েছিল রাশিয়াও।