বছরব্যাপী চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ করছে বলে যুক্তরাষ্ট্র মনে করে। জার্মানিতে মিউনিখের সম্মেলনে যোগ দিয়ে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এই অভিযোগ করেছেন।
কামালা হ্যারিস বলেন, “এবং আমি তাদেরকে বলছি, যারা এসব অপরাধের সঙ্গে যুক্ত এবং তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, যারা এসব অপরাধে সম্মতি দিয়েছে, তাদের সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে”।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের আইনি বিশ্লেষণ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়টি নিরূপণ করা হলেও, চলমান যুদ্ধে এর কোন তাৎক্ষনিক প্রভাব পড়বে না। তবে ওয়াশিংটন আশা করছে, এটি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আরও বেশি একঘরে করবে এবং আইনি উদ্যোগকে আরও গতিশীল করবে। যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আদালত ও বিধিনিষেধ প্রয়োগের মাধ্যমে পুতিন সরকারের সদস্যদের জবাবদিহির মুখোমুখি করা যাবে।
কমলা হ্যারিস বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার কার্যক্রম আমরা প্রমাণের ভিত্তিতে পরীক্ষা করেছি, আমরা আইনগত মানদণ্ড জানি। ফলে কোনো সন্দেহ নেই যে এগুলো মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।
বাইডেন প্রশাসন গত মার্চে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে যে রুশ সৈন্যরা ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ করেছে।
সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা ইউক্রেনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সমর্থন প্রদানের আহ্বান জানান। এতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, এখন সময় এসেছে সামরিক সহায়তা \’দ্বিগুণ করা।\’ রাশিয়ার ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রার হামলা শুরুর প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা করে রাশিয়া। ইউক্রেন প্রকাশিত তথ্য বলছে, ওই অভিযান শুরুর প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু করে গত জানুয়ারি পর্যন্ত দিনে যে–সংখ্যক রুশ সেনা মারা গেছেন, তার তুলনায় চলতি মাসে অনেক বেশি সেনা মারা যাচ্ছেন। এ মাসে প্রতিদিন ৮২৪ জন করে রুশ সেনা নিহত হচ্ছেন।
প্রায় এক বছর ধরে চলা যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে, লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতি চরম সংকটের মুখে পড়েছে।