তুরস্কের একটি ধ্বংসস্তূপ থেকে প্রায় ২০৩ ঘণ্টা পর এক তরুণীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের হাতায় প্রদেশে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ভূমিকম্পের অষ্টম দিনে এ বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে।
উদ্ধার করা ২৬ বছর বয়সি তরুণীর নাম এমিন আকগুল। আকগুল বেশ বিধ্বস্ত। একটি হাসপাতালে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে।
এদিকে তুরস্কের আদিয়ামান প্রদেশে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভূমিকম্পের প্রায় ১৯৮ ঘণ্টা পর ১৮ বছর বয়সি এক তরুণকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে তুরস্ক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে। কিন্তু উদ্ধার ব্যক্তির নাম-ধাম তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তুরস্কে ১৮২ ঘণ্টা পর ১২ বছর বয়সি এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দেশটির হাতায় প্রদেশের আঁতক্যা জেলায় এ ঘটনা ঘটে।
একই প্রদেশে প্রায় একই সময়ে ১৭৭ ঘণ্টা পর এক বয়স্ক নারীকেও উদ্ধার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে।
অথচ সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে জীবিত উদ্ধারের আশা সবাই একধরনের ছেড়েই দিয়েছেন। এমনকি সোমবার বিকালে সিরিয়ার উদ্ধারকারী দল হোয়াইট হেলমেটসের এক কর্মী বলেছেন, না, আমার মনে হয় না আর কোনো ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
নিহত ৩৭ হাজার ছাড়াল
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্প আঘাত হানার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে দেশ দুটিতে। মৃতের সারি দীর্ঘ হওয়ার পাশাপাশি অলৌকিকভাবে দু-একজনকে এখনও জীবিত উদ্ধার করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত দেশ দুটিতে মোট নিহতের সংখ্যা ৩৭ হাজার ছাড়িয়েছে।
তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩১ হাজার ৬৪৩ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় ৪ হাজার ৪০০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা।
এ ছাড়া আল আসাদের বাহিনী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ১ হাজার ৪১৪ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ধসে পড়েছে বহু ভবন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে বহু মানুষ। তাদের মধ্যে স্বল্পসংখ্যককেই জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে।
সংবাদ সূত্রঃ আল-জাজিরা