ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৫ হাজার। এর মধ্যে তুরস্কে ২১ হাজার ৮৪৮ জনের ওপরে। আর সিরিয়ায় ৩ হাজার ৫৫৩ জনের বেশি মৃত্যু হয়েছে। নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল থেকে প্রায় ৯৩ হাজার দুর্গতকে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় জড়িত ছিল দেড় লাখেরও বেশি উদ্ধারকর্মী।
জাতিসংঘ এক সতর্ক বার্তায় বলেছে, দুই দেশের প্রায় ৯ লাখ মানুষের জরুরি খাদ্য সহায়তা দরকার। ভূমিকম্পে প্রায় ৫৩ লাখ মানুষকে গৃহহীন করেছে।
বৈরী পরিবেশ উপেক্ষা করে ভূমিকম্পবিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় উদ্ধারকাজ এগিয়ে চলেছে। ভূমিকম্পের পঞ্চম দিনেও ধ্বংসস্তূপ থেকে একাধিক ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি শেষরাতে তুরস্কের গাজিয়ানতেপে সৃষ্ট ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ১০টি প্রদেশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিবেশী সিরিয়াও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আলেপ্পো ও বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রথম ভূমিকম্পের প্রায় ৯ ঘণ্টার মাথায় ৭ দশমিক ৫ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এ দুই ভূমিকম্পের পর অন্তত ৬৪৮টি ছোট ছোট ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে।
১৯৯৯ সালে তুরস্কে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহত হয়েছিল প্রায় ১৭ হাজার।
সংবাদ সূত্রঃ আলজাজিরা