পাকিস্তানে জ্বালানি সংকট চরমে। লাহোর, ফয়সালাবাদ এবং গুজরানওয়ালাসহ বড় শহরগুলির বেশ কয়েকটি পাম্প এরিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির চলমান নাভিশ্বাস অবস্থায় জ্বালানির এই ঘাটতিতে দিশেহারা সাধারণ মানুষ।
আটা ও তেলের ক্রমবর্ধমান দাম বৃদ্ধিতে পাকিস্তানে অর্থনৈতিক মন্দা সংক্রান্ত পরিস্থিতি আরও গুরুতর হয়ে উঠছে। জ্বালানি সংকটে প্রবল সমস্যায় দেশটি। পেট্রোল স্টেশনগুলিতে দীর্ঘ লাইন এবং জ্বালানির অভাবে গাড়ি চালাতে হিমশিম অবস্থা।
লাহোর, ফয়সালাবাদ এবং গুজরানওয়ালা সহ বড় শহরগুলির বেশ কয়েকটি পাম্প এরইমাঝে বন্ধ হয়ে গেছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যখন সাধারণ মানুষ তাদের যানবাহন চালানোর উপায় খুঁজতে ব্যস্ত।
পাঞ্জাবের শহরাঞ্চলের চেয়ে প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে জ্বালানি সংকট তীব্র। অনেক জ্বালানি স্টেশনে গত এক মাস ধরে তেলের সরবরাহ নেই।
পাকিস্তান পেট্রোলিয়াম ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা তেল বিপণনকারী কোম্পানিগুলোর পর্যাপ্ত সরবরাহ না করাকে দুষছেন। বলছেন, বর্তমানে লাহোরের সাড়ে চারশ’ পাম্পের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশে পেট্রোল নেই।
নাগরিকদের দাবি, কালোবাজারির কারণে এই সংকট তৈরি হয়েছে। সংকট তৈরি করে বেআইনি পথে বেশি দামে জ্বালানি বিক্রি করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের মানুষ যখন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন, সেসময় এ ধরনের জ্বালানি সংকট সাধারণ মানুষকে আরও বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে।