কলকাতার সঙ্গে বিমান পরিষেবায় ভারতের কোচবিহার জেলা যুক্ত হচ্ছে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকেই এই পরিষেবা চালু হচ্ছে। বিমান সংস্থা ইন্ডিয়া ওয়ান থাকছে এর দায়িত্বে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের স্কিমের আওতায় মিলবে এই বিমান পরিষেবা। তবে এ পরিষেবায় ব্যবহার হবে বাংলাদেশের আকাশ পথ।
শুক্রবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার বিমানবন্দর পরিদর্শনে এসে এসব তথ্য জানান ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক।
ইন্ডিয়া ওয়ান সংস্থার সিইও অরুণ কুমার সিং জানিয়েছেন, প্রতিদিন স্থানীয় সময় সকাল ১২টা ৩০ মিনিটে কোচবিহার থেকে ছেড়ে যাবে। এরপর বাংলাদেশের উপর দিয়ে কলকাতায় পৌঁছবে। সেখান থেকে জামশেদপুর হয়ে যাবে ভূবনেশ্বর। কোচবিহার টু কলকাতার প্রাথমিকভাবে বিমান ভাড়া ৯৯৯ রুপি ধার্য করা হয়েছে। আনুমানিক প্রায় ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের মতো সময় লাগবে কোচবিহার থেকে কলকাতায় পৌঁছাতে।
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কোচবিহার বিমানবন্দর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিমান চলাচল শুরু হবে বলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক।
দীর্ঘদিন যাতে এই পরিষেবা চালিয়ে যাওয়া যায়, সেজন্য রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সকলকে এর পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের এই প্রতিমন্ত্রী।
বর্তমানে বিমানে করে রাজ্যের উত্তরবঙ্গ পৌঁছনোর জন্য ভরসা বাগডোগরা বিমানবন্দর। সেখান থেকে কোচবিহার যেতেন অনেকে। এবার কোচবিহার পর্যন্ত পরিষেবা চালু হলে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে কলকাতার সংযোগ আরও নিবিড় হবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে নিশীথ প্রামাণিক বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এই পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা চলছিল। অবশেষে তা বাস্তবায়িত হতে চলেছে। ফলে কোচবিহারবাসীর মুখে নিশ্চিতভাবেই হাসি ফুটবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের জুলাই মাসের শেষে প্রথম বেসরকারি বিমান সংস্থার বিমানে করে কোচবিহারে নামেন নিশীথ প্রামাণিক। সেদিন তিনি জানিয়েছিলেন, কোচবিহার বিমানবন্দর থেকে বিমান পরিষেবা চালু হবে। এমপির এই ঘোষণার পরই কোচবিহার বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও দমকল পরিষেবা নিয়ে জট তৈরি হয়েছিল। এরফলে কোচবিহার বিমানবন্দর থেকে বিমান চলাচল করবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
কোচবিহার জেলার তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেছেন, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আগেই এই বিমানবন্দরের সংস্কার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আগেই ঘোষণা করেছিলেন কোচবিহার- কলকাতা বিমান চলবে। নিশীথ প্রামানিককে কেন তা পরিদর্শন করে জানাতে হবে।