ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বৃহস্পতিবার বলেছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধবিমান পাঠানোর জন্য ‘বছর না হলেও কয়েক মাস’ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হবে এবং তিনি কিয়েভকে বিজয় নিশ্চিত করতে সাহায্য করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় খুঁজছেন। নেতা হিসেবে তার প্রথম ১০০ দিন উপলক্ষে বলেছেন, ইউকে ‘ইউক্রেনীয়দের প্রয়োজনীয় সমর্থন দেয়ার জন্য তিনি তাদের সাথে নিয়মিত কথা বলছেন।’
তিনি বলেন, ‘ আমরা কি এমন সমর্থন প্রদান করতে পারি যা যুদ্ধে ইউক্রেনকে এগিয়ে দেবে। তাই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমি ইউক্রেনকে ভারী ট্যাঙ্ক সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ব্রিটেনকে ভারী ট্যাঙ্ক সরবরাহকারী হিসেবে বিশ্বের প্রথম দেশগুলোর মধ্যে একটি হতে হবে।পরে অন্যান্য দেশগুলোও আমাদের অনুসরণ করবে।’
তিনি বলেন, যুদ্ধবিমান গুলো ‘অবিশ্বাস্য রকমের অত্যাধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত। কারণ এ গুলোর জন্য মানুষকে প্রশিক্ষিত করতে জন্য কয়েক বছর না হলেও কয়েক মাস সময় প্রয়োজন হবে।’
‘আমাদের আকাক্সক্ষা এবং লক্ষ্য হল ইউক্রেন যাতে এই সংঘাতে জয়লাভ করতে পারে। এটি কেবল সরঞ্জাম নয়, এর পাশাপাশি আমাদের মিত্রদের সাথে একটি পরিকল্পনা প্রয়োজন যা ইউক্রেনের বিজয় নিশ্চিত করবে।’ এর আগে বৃহস্পতিবার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান সরবরাহ করা যুদ্ধে ‘জাদুর কাঠি’ হবে না।
তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘যুদ্ধ বিমান প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমি বেশ পরিষ্কার ছিলাম। গত এক বছরে আমি একটি জিনিস শিখেছি তা হল কোন কিছুকে উড়িয়ে দেবেন না। কিছুকে বাতিল করবেন না।’
কিয়েভ রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করতে আমেরিকার তৈরি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহের অনুরোধ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আপাতত ইউক্রেনে এফ-১৬-এর কোনো সরবরাহ নাকচ করে দিয়েছে। কিন্তু পোল্যান্ডসহ অন্যান্য অংশীদাররা অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান সরবরাহে আরো আগ্রহ দেখিয়েছে।
ওয়ালেস বলেন,‘আমি ইউক্রেনকে শুধু যুদ্ধবিমান সরবরাহ নয়, তাদের সব ধরণের ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য অত্যন্ত আগ্রহী।’ মন্ত্রী বলেন, ‘এই জিনিসগুলো সবসময় রাতারাতি ঘটে না। তবে আমি বলতে পারি, আমরা ইউক্রেনীয়দের ঝুঁকির মধ্যে রাখছি না’। মঙ্গলবার ডাউনিং স্ট্রিট তার যুদ্ধ বিমান পাঠানোর বিষয়টি অস্বীকার করার পর তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি মুখপাত্র বলেছেন,‘যুক্তরাজ্যের টাইফুন এবং এফ -৩৫ যুদ্ধবিমানগুলো অত্যন্ত অত্যাধুনিক এবং কীভাবে উড়তে হয় তা শিখতে কয়েক মাস সময় লাগে।’
‘এটি বিবেচনা করে আমরা বিশ্বাস করি ইউক্রেনে এই জেটগুলো পাঠানো বাস্তব সম্মত নয়।’
ব্রিটেনের সরকার জানুয়ারিতে প্রথম পশ্চিমা মিত্র হিসেবে মার্চের শেষের দিকে ইউক্রেনে ১৪টি চ্যালেঞ্জার ২ ট্যাঙ্কসহ ভারী সাঁজোয়া যান পাঠানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করে।