পূর্ব জেরুজালেমে ইহুদিদের উপাসনালয়ে এক বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত সাত জন। এতে আহত হয়েছেন আরও তিন জন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে পূর্ব জেরুজালেমের নেভ ইয়াকভের বসতিতে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার এ ঘটনা নেভ ইয়াকভের একটি উপাসনালয়ে ঘটেছে বলে ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ হামলাকারীকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে দাবি করেছে।
ইসরায়েলি পুলিশ বলছে, রাত সোয়া ৮টার দিকে একটি গাড়িতে করে আসে বন্দুকধারী। এরপর উপাসনালয় হিসেবে ব্যবহৃত ভবনে গুলি চালায়। ওই বন্দুকধারীও ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন পাঁচজন। এ ছাড়া আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরমধ্যে একজন ৭০ বছর বয়সী নারীও রয়েছেন।
আল-জাজিরা বলছে, এখন পর্যন্ত যে পরিসংখ্যান রয়েছে তা হলো— এ ঘটনায় সাতজন মারা গেছে। ঘটনাটি এমন এক সময় ঘটল, যখন অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ১০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটে। ওই এলাকায় প্রায় দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা ছিল এটি।
১৯৬৭ সালে মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের পর নেভ ইয়াকভ শহরটিকে জেরুজালেমের সঙ্গে যুক্ত করে ইসরায়েল। তবে ফিলিস্তিনসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এটিকে ইসরায়েলের অবৈধ দখল বলে আসছে।
এদিকে গাজায় হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম রয়টার্সকে বলেন, শুক্রবারের এই হামলা ছিল ইসরায়েলি দখলদারদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। কারণ এর আগে দখলদাররা জেনিন শরণার্থী শিবিরে হামলা চালায়।
সংবাদ সূত্রঃ বিবিসি/ আল-জাজিরা/ রয়টার্স