সক্ষমতার প্রায় সর্বোচ্চ পরিমাণ ঋণ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ অবস্থায় যেকোনো মুহূর্তেই দেউলিয়া হতে পারে বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনীতির দেশটি। দেউলিয়াত্ব এড়াতে এরইমধ্যে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ ত্বরিত ‘অসাধারণ’ কিছু উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থির কাছে লিখিত এক চিঠিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকেই নতুন করে ঋণ কার্যক্রম স্থগিতাদেশের মেয়াদ শুরু হয়েছে। এই স্থগিতাদেশ চলবে আগামী ৫ জুন পর্যন্ত। ফলে সিভিল সার্ভিসের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও প্রতিবন্ধী তহবিলের অংশ পুরোপুরি বিনিয়োগ করতে পারবে না অর্থ বিভাগ। এ কারণে খুব শিগগিরই সুবিধাভোগীদের অর্থ দেয়াও সম্ভব হবে না।
চিঠিতে জ্যানেট ইয়েলেন আরও বলেন, ট্রেজারি বিভাগ পোস্টাল সার্ভিসের অবসরপ্রাপ্তদের স্বাস্থ্য সুবিধা সংক্রান্ত তহবিলে অতিরিক্ত বিনিয়োগ স্থগিত করবে। তবে এর ফলে অবসরপ্রাপ্ত ফেডারেল কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধায় কোনো প্রভাব পড়বে না।
ইউএসএ টুডের সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পরিমাণ ঋণ নেয়ার মানে হলো, দেশটির কংগ্রেস দেশি ও বৈদেশিক ঋণ নেয়ার যে সীমা বেঁধে দিয়েছিল তা পূর্ণ হয়ে গেছে। এ নিয়ে জেনেট জানিয়েছেন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের মোট ঋণের পরিমাণ ৩১ লাখ ৪০ হাজার কোটি ডলার। এ অবস্থায় যথাপোযুক্ত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য কংগ্রেসকে অনুরোধ জানিয়েছেন জেনেট।
অবশ্য প্রায় আড়াইশ বছরের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের নামের পেছনে ঋণখেলাপির তকমা কখনও লাগেনি। যদিও ১৯৯৭ সাল থেকে ২০২২ সাল অর্থাৎ বিগত ২৫ বছরের মধ্যে প্রায় প্রতি বছরই যুক্তরাষ্ট্র ঋণ নেয়ার পরিমাণ বাড়িয়েছে। এ সময়ের মধ্যে অন্তত ২২ বার সর্বোচ্চ ঋণ নেয়ার সীমা বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সংবাদ সূত্রঃ সিএনবিসি