দানিপ্রোয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪০

দানিপ্রোয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪০

ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের শহর দানিপ্রোয় রুশ সেনাদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ জনে। গতকাল সোমবার (১৬ জানুয়ারি) এ তথ্য জানায় আঞ্চলিক প্রশাসন।

যে ভবনটিতে হামলা করা হয়েছিল, সেখানে ১৭০০ মানুষের বসবাস ছিল। হামলার পর ভবনটি ধ্বসে যায়। ধ্বংসস্তূপে ক্ষতিগ্রস্ত ও বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের শনাক্তের কাজ চলছে।

আঞ্চলিক প্রশাসন জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ আছেন আরও ৩০ জন। অন্তত ৭৫ জন আহত হয়েছে এ ঘটনায়। শনিবার (১৪) এ হামলায় প্রথমে ২০ জন নিহতের কথা জানিয়েছিলেন আঞ্চলিক গভর্নর ভ্যালেন্টিন রেজনিচেঙ্কো।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল এ ঘটনাকে ‘অমানবিক আগ্রাসন’ বলে অভিহিত করেছেন। টুইট পোস্টে তিনি বলেন, এটি সরাসরি বেসামরিক লোকদের লক্ষ্য করে করা হামলা। এ অপরাধের জন্য কোনো দায়মুক্তি হবে না।

কিন্তু ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের দাবি, রাশিয়ান সামরিক বাহিনী আবাসিক ভবনগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে না। ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা পদক্ষেপের কারণে দানিপ্রোর ভবনটি আঘাতপ্রাপ্ত হয়।

এদিকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে দোনেৎস্কে সোমবার ভয়ঙ্কর লড়াই চলছে দুই পক্ষে। সামরিক বিশ্লেষকরা বলেছেন, যুদ্ধের ময়দানে উভয় পক্ষের সৈন্যদের ক্ষয়ক্ষতি করছে। তবে, এ স্বাধীনভাবে এ তথ্য যাচাই করা যায়নি।

পশ্চিমা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আগ্রাসন শুরুর ১১ মাস পর ইউক্রেনে টানা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্রেমলিন। ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার এক প্রতিবেদনে বলেছে, ক্রেমলিন সম্ভবত আগামী ছয় মাসের মধ্যে একটি নিষ্পত্তিমূলক কৌশলগত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। উদ্যোগটি হতে পারে তাদের নিজেদের পুনরুদ্ধার করা এবং ইউক্রেনের বর্তমান অপারেশনাল সাফল্যের স্ট্রিং শেষ করা।

এটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, রাশিয়ান সামরিক কমান্ড একটি বর্ধিত সংহতি প্রচেষ্টার জন্য ‘গুরুতর প্রস্তুতির’ নিচ্ছে। এটি হতে পারে ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য সংগঠিত কর্মীদের সংরক্ষণ করা, সামরিক শিল্প উত্পাদন বাড়ানো ও কমান্ড কাঠামোর রদবদল করা।

থিঙ্ক ট্যাঙ্ক বলছে, এসব যদি হয়ে থাকে পশ্চিমা মিত্রদের উচিৎ হবে দীর্ঘমেয়াদে ইউক্রেনকে সমর্থন অব্যাহত রাখা।

সংবাদ সূত্রঃ এপি