তাইওয়ান প্রণালীর মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ স্পর্শকাতর স্থান দিয়ে চলার কারণে চরম ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে চীন। তবে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, এটি সামরিক বাহিনীর বৈধ রুটিন কার্যক্রম ছিল।
আজ শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বেইজিংয়ের হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করেই গত কয়েক বছর ধরে স্পর্শকাতর তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে যাতায়াত করছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও কানাডার মতো দেশগুলোর জাহাজ। এর আগে পশ্চিমা দেশের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা তাইওয়ান সফর করেছেন। সব মিলিয়ে চীন চরম ক্ষুব্ধ হয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আরলেই বার্ক-শ্রেণির গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার চুং-হুন প্রণালী দিয়েই যাতায়াত করে। তাইওয়ান প্রণালীর চুং হুন প্রণালী দিয়ে চলাচল মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির প্রদর্শন।
এদিকে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত চীনের দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেঙ্গুয়ে এক বিবৃতিতে কড়া ভাষায় এর বিরোধিতা করে বলেন, চীন স্পষ্টভাবে এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে। তাইওয়ান প্রণালীজুড়ে সমস্যা ও উদ্বেগ সৃষ্টি, শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্টের চেষ্টা বন্ধ করার আহ্বান জানান এই মুখপাত্র।
তিনি আরও বলেন, ‘মার্কিন যুদ্ধ জাহাজগুলো নৌ চলাচলে স্বাধীন অনুশীলনের নাম করে প্রায়ই শক্তি প্রদর্শন করে। এ অবস্থায় চীন সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করবে এবং যেকোননো ধরনের হুমকি ও উসকানির প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত আছে। নিজ দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা দৃঢ়ভাবে রক্ষা করবে বেইজিং।\’
চাইনিজ পিপলস লিবারেশন আর্মির ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তারা জাহাজের চলাচল পর্যবেক্ষণ ও পাহারা দেওয়ার জন্য সৈন্যদের সংগঠিত করেছে এবং সব কিছুই তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এদিকে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, জাহাজটি প্রণালী দিয়ে উত্তর দিকে যাত্রা করেছিল। তার বাহিনী জাহাজটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেছিল এবং উসকানির কিছু দেখেনি।
সংবাদ সূত্রঃ রয়টার্স