বাংলাদেশে দূতাবাস খোলার ঘোষণা আর্জেন্টিনার

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো বাংলাদেশে দূতাবাস খোলার ঘোষণা দিয়েছেন। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব চূড়ান্ত করতে ক্যাফিয়েরো আগামী বছর বাংলাদেশ সফর করবেন। রবিবার (১১ ডিসেম্বর) দক্ষিণ আটলান্টিক অঞ্চলের সংবাদ সংস্থা মেরকোপ্রেস এক প্রতিবেদনে এ কথা জানায়। মেরকোপ্রেস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, কাতার ফিফা বিশ্বকাপ খেলা লিওনেল মেসি ও আর্জেন্টিনা দলের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের প্রশ্নাতীত সমর্থনের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশে সবসময়ই আর্জেন্টিনার ভক্ত সংখ্যা প্রচুর। কাতার বিশ্বকাপের সময় তারা তাদের বিপুল আবেগ প্রদর্শন করে বিশ্বব্যাপী নজর কেড়েছে। মেক্সিকোর বিরুদ্ধে মেসির গোল করার পর,বাংলাদেশি সমর্থকদের উল্লাস করার একটি ভিডিও ফিফার অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা হয়েছিল। এই পোস্টটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় এবং ইন্টারনেটে ট্রেন্ডিংয়ে পরিণত হয়। আর্জেন্টিনার মিডিয়াও তা কভার করে।

পরে, আর্জেন্টিনার জাতীয় ফুটবল দলের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখিত বার্তা সহ বাংলাদেশ সম্পর্কে টুইট করা হয়। তাতে বলা হয়, “থ্যাংক ইউ ফর সাপোর্টিং আওয়ার টিম!!! দে আর ক্রেজি লাইক আস।” আর্জেন্টিনার ফুটবল দলের প্রতি বাংলাদেশের অন্তহীন ভালোবাসার প্রতিদান হিসেবে, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের জন্য একটি আর্জেন্টিনা ফ্যান গ্রুপ তৈরি করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।

আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাফিয়েরো-কে উদ্ধৃত করে মার্কোপ্রেস জানিয়েছে, ভারতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের পর, প্রস্তাব চূড়ান্ত করতে তিনি আগামী বছর বাংলাদেশ সফর করবেন। চলমান আগস্টে, ক্যাফিরো বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দেখা করেন। এসময় তারা দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং ‘বাণিজ্য বৃদ্ধির ব্যাপক সম্ভাবনা’ নিয়ে একমত হন।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে যে তারা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অন্বেষণ করতে চায়। তারা বাংলাদেশে একটি দূতাবাস খোলার মাধ্যমে বাণিজ্যে বৈচিত্র্য আনতে চায়।

গত বছর, আর্জেন্টিনা বাংলাদেশে ৮৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছিল। যার বেশিরভাগ গম, ভুট্টা ও সয়াবিন জাতীয় পন্য। এই রপ্তানির ফলে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির ৮৬ কোটি ২০ লাখ ডলার বাণিজ্য উদ্বৃত্ত হয়েছে। গত জুলাই মাসে আর্জেন্টিনা বাংলাদেশকে জানায় যে তারা বাংলাদেশে সয়াবিন, গরুর মাংস ও সার রপ্তানির জন্য প্রস্তূত।