মার্কিন ডলারের রিজার্ভ ব্যয় না করে তেলজাত পণ্য কেনার জন্য নতুন একটি পরিকল্পনা প্রণয়নে কাজ করছে আফ্রিকার দেশ ঘানা। বৃহস্পতিবার ফেসবুকে এই তথ্য জানিয়েছেন ঘানার ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাহামাদু বাইউমিয়া। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
বৈশ্বিক মন্দায় আন্তর্জাতিক বিনিময় মুদ্রা হিসেবে ব্যবহৃত ডলারের চাহিদা বেড়েছে। বিশেষ করে জ্বালানি তেল আমদানি করতে হয়, এমন দেশে ডলারের মজুত কমছে প্রতিনিয়তই। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি। এমন এক পরিস্থিতিতে ডলার–সংকট কাটাতে এ পরিকল্পনার কথা জানায় ঘানা।
যে কোনো দেশের ন্যূনতম অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য ওই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো ডলারে মজুত থাকতে হয়।সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ ঘানার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ নেমে এসেছে ৬৬০ কোটি ডলারে। এই পরিমাণ দেশটির তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব নয় ঘানার পক্ষে।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের শেষে ঘানার রিজার্ভ ছিল ৯৭০ কোটি ডলার।
দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহামুদু বাওউমিয়া বলেছেন, ‘সরকারের নেওয়া নতুন নীতি আমাদের বিনিময় ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনবে। এতে করে দেশীয় মুদ্রার ক্রমাগত অবমূল্যায়ন অনেকটা হ্রাস পাবে।’
তিনি বলেন, ‘সোনা দিয়ে তেল আমদানি করলে মুদ্রা বিনিময় হার সরাসরি জ্বালানি বিলের ওপর প্রভাব ফেলবে না। কারণ, দেশীয় বিক্রেতাদের তেল বা তেলজাতীয় পণ্য আমদানিতে তখন আর বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন হবে না। সোনা দিয়ে তেল আমদানি বিনিময়ব্যবস্থায় কাঠামোগত পরিবর্তন আনবে।’
প্রস্তাবিত এই নীতি খুব প্রচলিত নয়। অনেক সময় বিভিন্ন দেশ অন্যান্য পণ্যের জন্য তেল বিনিময় করে থাকে। এমন চুক্তি সাধারণত তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো তেল আমদানিকারক দেশের সঙ্গে করে থাকে।
ঘানাতে অপরিশোধিত তেল উৎপাদন হয়। কিন্তু পরিশোধিত তেলের জন্য দেশটিকে আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। কারণ ২০১৭ সালে বিস্ফোরণের পর দেশটির একমাত্র শোধনাগার বন্ধ হয়েছে।
সংবাদ সূত্রঃ রয়টার্স