সৌদি আরবে কাজের জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে যাওয়া শ্রমিক-কর্মচারিদের জন্য নতুন এক দুঃসংবাদ। দেশটিতে এতোদিন প্রবাসী শ্রমিক বা চাকুরিজীবীদের ভিসার মেয়াদ দুই বছর থাকলেও দেশটির সরকার তা কমিয়ে এক বছর করেছে। দেশটির শ্রম ও সামাজিক উন্নয়ক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আজ মঙ্গলবার এই খবর প্রকাশ করেছে সৌদি গেজেট।
খবরে বলা হয়েছে, বেসরকারি খাতে বিদেশি শ্রমিক বা কর্মচারি নিয়োগের ক্ষেত্রে ভিসার মেয়াদ দুই বছর থেকে কমিয়ে এক বছরে নামিয়ে আনা হয়েছে। তবে সরকার যাদের কাজের ভিসা দিচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে নতুন এই নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে না বলেও মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে।
দেশটির শ্রম ও সামাজিক উন্নয়ক বিষয়ক মন্ত্রী ড. আলি আল-ঘাফিস স্বাক্ষরিত এই সংক্রান্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শ্রম আইনের ১১ ধারা অনুসারেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে।
এদিকে গত রোববার এই মন্ত্রণালয় এক ঘোষণায় জানিয়েছে এখন থেকে সন্তান জন্মদানের কারণে নাগরিকত্ব পাওয়া নারীরা শ্রমবাজারে সৌদি নারীদের মতোই সমান সুযোগ সুবিধা পাবেন। সৌদি আরবের স্থানীয় নয় এমন পিতা-মাতার সন্তানের নাগরিকত্ব পাওয়াটা খুবই কঠিন ব্যাপার। সৌদি নাগরিকদের মধ্যে প্রবাসীদের বিয়ে করার হার বৃদ্ধির কারণে একই সাথে সন্তান জন্মের পর সন্তান নাগরিকত্ব পেলেও, পিতামাতার বিশেষ করে মায়ের নাগরিকত্ব না থাকার কারণে অনেক রাষ্ট্রীয় সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতেন।
গত ৬০ বছরের মধ্যে নাগরিকত্ব নিয়ে দেশটিতে বড় ধরনের কোনো সংশোধন করা হয়নি। ২০০৪ ও ২০০৭ সালে ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন আনলেও গত বছর নভেম্বরে মোট ৩টি অধ্যায়কে সংশোধন করে দেশটির শূরা কাউন্সিল।
সংশোধনানুযায়ী, সৌদি আরবে শিশুর জন্ম দিলে শিশুর পাশাপাশি মায়েরও দেশটির নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন পাশ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ঘণ্টা, ২৪ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/কেএসপি