উত্তর কোরিয়া বুধবার (২ নভেম্বর) তাদের পূর্ব ও পশ্চিম উপকূল থেকে অন্তত ১০টি বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে, তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে দক্ষিণ কোরিয়াও। এগুলোও উত্তর কোরিয়ার পানিসীমার কাছাকাছি গিয়ে পড়ে। এই পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনায় যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে দুই কোরিয়ার মধ্যে।
উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ঘটনায় তাৎক্ষণিক নিন্দা জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এ ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল জাতীয় নিরাপত্তা বৈঠক ডাকেন। পিয়ং ইয়ংয়ের সবশেষ এই ‘উসকানিমূলক আচরণের’ ব্যাপারে দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখানোর নির্দেশ দেন তিনি। এরপরই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে দক্ষিণ কোরিয়াও।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার প্রতিক্রিয়ায় কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে উত্তর কোরিয়া।
২০২২ সালে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন অন্য যে কোনো বছরের চেয়ে বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছেন। পরমাণু ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কারণে ২০০৬ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে উত্তর কোরিয়া। এসব কর্মসূচিতে অর্থায়ন বন্ধ করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও ধারাবাহিকভাবে বিধিনিষেধ বাড়িয়েছে। কিন্তু সব নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া।
সংবাদ সূত্রঃ সিএনএন