প্লে স্টোর নীতির ক্ষেত্রে নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করার অভিযোগে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলকে ৯৩৬ কোটি ৪৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছে ভারত। দেশটির প্রতিযোগিতা কমিশন (কম্পিটিশন কমিশন অব ইন্ডিয়া বা সিসিআই) এ জরিমানা করেছে। পাশাপাশি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটিকে কয়েকটি নির্দেশনা মেনে চলারও কথা বলেছে সিসিআই।
গতকাল মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভারতীয় গণমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।
খবরে বলা হয়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ভারতে আবার জরিমানা গুনতে হলো গুগলকে। গত ২০ অক্টোবর গুগলকে ১ হাজার ৩৩৭ কোটি ৭৬ লাখ রুপি জরিমানা করেছিল সিসিআই। এর আগের জরিমানার সময়ে সিসিআই বলেছিল, বাজারে সবচেয়ে প্রভাবশালী হওয়ার সুবিধা নিয়ে অনলাইন সার্চ এবং অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ স্টোরে নিজেদের অ্যাপগুলোকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে গুগল। সেজন্য গুগলকে এ অর্থ জরিমানা করা হয়েছে। গুগল জানিয়েছে, এই নির্দেশের ফলে ধাক্কা খাবেন ভারতীয় ব্যবহারকারীরা।
কম্পিটিশন কমিশন অব ইন্ডিয়া বলছে, গুগল অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) শুধু পরিচালনাই করে না, সব কিছু দেখশোনা করে। নিজেদের মালিকানাধীন অন্য অ্যাপগুলোর লাইসেন্সও দিয়ে থাকে তারা। তাই স্মার্টফোট হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলোও নিজেদের মোবাইল ফোনে ওএস এবং গুগল অ্যাপ ব্যবহার করতে একপ্রকার বাধ্য হয়। সে কারণে গুগলের তৈরি অধিকার এবং বাধ্যবাধকতা সংক্রান্ত একাধিক চুক্তিতেও সই করতে হয় তাদের। যার মধ্যে অন্যতম হল মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডিস্ট্রিবিউশন এগ্রিমেন্ট। তার আওতায় গুগলের সার্চ ইঞ্জিন অ্যাপ, ক্রোম ব্রাউজার, উইজেট আগে থেকেই ইনস্টল করে দেওয়া হয় অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনগুলোতে। সেই কারণ দেখিয়েই জরিমানা করা হয়েছিল।
গুগলের ভারতের মুখপাত্র জানিয়েছেন, অ্যান্ড্রয়েড আগের থেকে অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়েছে। ভারতসহ বিশ্ব সফল ব্যবসাকে সমর্থন করে। সিসিআইয়ের এমন সিদ্ধান্ত ভারতীয় ভোক্তা ও ব্যবসার জন্য নিঃসন্দেহে একটি বড় ধাক্কা। অ্যান্ড্রয়েডের ওপর যাদের আস্থা আছে, যারা অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করেন, সিসিআইয়ের সিদ্ধান্তের জেরে তাদের খরচ আরও বাড়বে। আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ভারতের ৬০ কোটি ফোনে গুগলের অপারেটিং সিস্টেট ব্যবহার করা হয়।