পাকিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান গতকাল রোববার (১৬ অক্টোবর) দেশটির জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে গড়েছেন ইতিহাস। সাতটি আসনের উপনির্বাচনে দাঁড়িয়ে ইমরান খান ছয়টি আসনেই জয় পেয়েছেন। এই তথ্য পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এর আগে ২০১৮ সালে পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে ৫টি আসনে জয় লাভ করেছিলেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার এনএ-২২ মারদান-৩, এনএ-২৪ চরসাদ্দাদ্বিতীয়, এনএ-৩১ পেশোয়ার-৫, এনএ-১০৮ ফয়সালাবাদ-৮, এনএ-১১৮ নানকানা সাহিব-২, এনএ-১৫৭ মুলতানে-৪, এনএ-২৩৭ মালির-২, এনএ-২৩৯ কোরাঙ্গি করাচি-১ আসনে জাতীয় পরিষদের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
পিটিআই চেয়ারম্যান নিজে এইবার এনএ-১৫৭ বাদে সাতটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে মালির আসন বাদে বাকি ছয়টিতেই জয় পান। ওই আসনে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) হাকিম বেলুচের কাছে হেরে যান ইমরান। আর মুলতানের আসনেও হেরে যায় ইমরানের দল। ওই আসনে পিটিআই-এর ভাইস চেয়ারম্যানের মেয়ে বানু কোরেশিকে প্রার্থী করা হয়েছিল।
জিও নিউজ বলছে, পিপিপির প্রতিষ্ঠাতা জুলফিকার আলী ভুট্টো ইমরান খানের আগে একসঙ্গে পাঁচটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সেই সময় তিনি চারটি আসনে জয়ী হয়েছিলেন, হেরে যান একটিতে।
গত এপ্রিলে জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবে হেরে যান ইমরান খান। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর গদি হারেন পিটিআই চেয়ারম্যান। এতে পিটিআই সংসদ সদস্যদের পদত্যাগে শূন্য হয়ে যায় জাতীয় পরিষদের আসনগুলো। এর প্রেক্ষিতে এই উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে খবরে বলা হয়েছে।
সংবাদ সূত্রঃ জিও নিউজ