রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য নতুন করে সেনা নিযুক্তির ঘোষণা দেয়ার পর দেশটি দুই লাখের বেশি মানুষের নাম নতুন সেনা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। রাশিয়া এসব সেনা ইউক্রেনে পাঠাবে।
গতকাল মঙ্গলবার রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু এ কথা জানান। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত একটি বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু বলেছেন, “নতুন করে দুই লাখের বেশি মানুষ সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছেন।”
ইউক্রেনীয় বাহিনীর পাল্টা আক্রমণে রুশ বাহিনী বিপাকে পড়ায় গত ২১ সেপ্টেম্বর পুতিন সেনা নিযুক্তির ঘোষণা দেন। ক্রেমলিন একে আংশিক সেনা সংযুক্তি অভিহিত করে জানিয়েছে, নতুন করে তিন লাখ সেনা নিয়োগ দেওয়া হবে।
রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু বলেন, “নতুন করে তালিকা করা সেনাদের রাশিয়ার ৮৬টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও স্থাপনায় সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।” বার্তা সংস্থা এএফপির বরাতে এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি।
তবে নতুন করে সেনা নিয়োগের তালিকা শুরুর পর কিছু বাধার মুখে পড়েছিল ক্রেমলিন। অনেকে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভও করেন। পুতিনের ঘোষণার পরে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চান না রাশিয়ার এমন হাজার হাজার মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। অনেকে পালানোর চেষ্টা করেছেন। এ নিয়ে সমালোচনাও চলছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রতিবেশী কাজাখস্তান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দুই সপ্তাহে সীমান্ত পেরিয়ে দেশটিতে ঢুকেছেন দুই লাখের বেশি রুশ নাগরিক।
সেনা নিযুক্তি করা নিয়ে যেসব ভুল পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা সংশোধন করার জন্য গত সপ্তাহে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান প্রেসিডেন্ট পুতিন।
এদিকে সোইগু বলেছেন, “নতুন করে নিয়োগপ্রাপ্তদের দ্রুত যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে সামরিক ও নৌবাহিনীর কমান্ডাররা সহায়তা করবেন।”