দেশ থেকে পালালেন ইংলাক

থাইল্যান্ডের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। শুক্রবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরপরই তিনি পালিয়ে যান বলে খবর দিয়েছে বিবিসি। চালে ভর্তুকি কর্মসূচিতে অবহেলার মামলাম শুক্রবার ইংলাকের বিরুদ্ধে রায় হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অসুস্থতার কথা জানিয়ে তিনি আদালতে হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে রায় পেছানোর আবেদন করেন।

কিন্তু প্রধান বিচারপতি চিপ চুলামনের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্ট তার অনুপস্থিতিতে সন্দেহপোষণ করে বলেন, তারা বিশ্বাস করেন না ইংলাক অসুস্থ। মামলা মোকাবেলায় তিনি ভয় পাচ্ছেন অথবা অসুস্থতার অজুহাতে পালোনোর চেষ্টা করছেন।
পরে বিচারপতি ইংলাকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করেন এবং ২৭ সেপ্টেম্বর রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন।
ইংলাকের দলের ঘনিষ্ট সূত্র বিবিসির কাছে দাবি করেছে, আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর অপ্রত্যাশিতভাবেই ইংলাক ব্যাংকক ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।

এই রায়ে ইংলাকের ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। সেটি হলে তিনি আজীবনের জন্য রাজনীতিতে নিষিদ্ধ হতে পারেন।
চালে ভর্তুকির কর্মসূচিটি ছিল ইংলাক প্রশাসনের প্রধান একটি নীতি। ওই কর্মসূচিতে কৃষকদের কাছ থেকে বাজারমূল্যের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি মূল্যে ধান কেনা হয়।

এই কর্মসূচির কারণে দেশটিতে চালের বিশাল মজুত সৃষ্টি হয় এবং লোকসান হয় ৮০০ কোটি ডলার।
এর আগে ওই কর্মসূচিতে অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করে ইংলাক বলেছেন, ওই কর্মসূচির দৈনন্দিন ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে তিনি ছিলেন না।
২০১৫ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ইংলাক বলেন, ‘আমি সততার সঙ্গে আইন অনুযায়ী সরকার পরিচালনা করেছি।’

তিনি বলেন, উৎপাদনকারী কৃষকদের চালের মূল্য হ্রাসের নেতিবাচক প্রভাব এবং ঋণ থেকে মুক্তি দিতে তিনি ভর্তুকি প্রকল্প চালু করেন। ইংলাকের দাবি, তার এ পদক্ষেপে ১৮ লাখ কৃষক উপকৃত হয়।

২০১৪ সালের ২২ মে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করার মাত্র কয়েক দিন আগে আদালতের এক বিতর্কিত আদেশে ক্ষমতাচ্যুত হন থাইল্যান্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা।

২০১১ সালে তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন। ইংলাক স্বেচ্ছা-নির্বাসিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার বোন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, ২৫ আগস্ট ২০১৭

লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এস

Scroll to Top