ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য ৩৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ব্রিটেনের মুদ্রা পাউন্ডের হয়েছে ব্যাপক দরপতন। যা গত ৩৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এ তথ্য পাওয়া গেছে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশন বিবিসির এক প্রতিবেদনে।

এতে জানানো হয়, যুক্তরাজ্যে নাগরিকদের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। কারণ, নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে গত আগস্টে দেশটিতে খুচরা বিক্রি ব্যাপকভাবে কমে গেছে। এতে ডলারের বিরুদ্ধে অধিক দুর্বল হয়ে পড়েছে পাউন্ড।

যুক্তরাজ্যে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি পণ্য বিক্রি কমেছে। এ হার ১ দশমিক ৬ শতাংশ। দেশটির অর্থনীতি নিয়ে যা উদ্বেগ উসকে দিয়েছে।

এক বিশেষজ্ঞ বলছেন, সরকার যে তথ্য দিয়েছে তাতে স্পষ্ট হয়েছে ইতোমধ্যে মন্দায় পড়েছে যুক্তরাজ্য।

এ খবরে এক লাফে স্টার্লিংয়ের মান ১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। গত শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) প্রতি পাউন্ড বিক্রি হয়েছে ১ ডলার ১৩৫১ সেন্টে। ১৯৮৫ সালের পর যা সর্বনিম্ন।

অবশ্য পরে ঘুরে দাঁড়ায় পাউন্ড। তবে তা এখনও প্রধান অন্তর্জাতিক মুদ্রার বিপরীতে নিম্নমুখী ধারায় রয়েছে। সবমিলিয়ে চলতি বছরের শুরু থেকেই ডলারের বিপক্ষে শক্তি হারাচ্ছে পাউন্ড।

যুক্তরাজ্যে ঘোড়ার গতিতে ছুটছে মূল্যস্ফীতি। এরই মধ্যে তা ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

ব্যাংক অব ইংল্যান্ড (বিওই) আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, চলতি বছর মূল্যস্ফীতি ১৩ শতাংশ ছাড়াতে পারে। এর মধ্যে কার্যকরী কোনো সিদ্ধান্ত না নিলে আগামীতে আরও কষ্ট পোহাতে হবে ব্রিটিশ নাগরিকদের।