রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে শোকে নিমজ্জিত দেশটিতে রাজা হিসেবে দায়িত্ব নেয়া কিং চার্লস তৃতীয় গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬ টায় তার নতুন অধ্যায়ের সূচনায় জনগণের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। চার্লস (৭৩) বৃহস্পতিবার স্কটিশ হাইল্যান্ড রিট্রিটে তার মায়ের মৃত্যুর পরপরই রাজা হন। ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি বলেন, \”রানি নিজে যেমন নিষ্ঠার সঙ্গে আপনাদের জন্য কাজ করেছিলেন, আমিও এখন থেকে সাংবিধানিক নীতিগুলিকে সমুন্নত রেখে আপনাদের জন্য কাজ করার অঙ্গীকার করছি\’\’।
রাজা বলেন, \”একজন প্রিয় রানি এবং প্রিয়তম মায়ের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমি জানি সারা দেশ, রাজ্য ও কমনওয়েলথ, এবং সারা বিশ্বের অগণিত মানুষ তার মৃত্যুকে গভীরভাবে অনুভব করবেন।\”
জনগণের উদ্যাশ্যে তিনি আরো বলেন, \”আপনি যেখানেই যুক্তরাজ্য বা বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল এবং অঞ্চলে বসবাস করুন না কেন এবং আপনার পটভূমি এবং বিশ্বাস যাই হোক না কেন আমি আনুগত্য, শ্রদ্ধা এবং ভালবাসার সঙ্গে আপনাদের সেবা দেওয়ার করার চেষ্টা করব।
এসমন তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, \”আমি আমার নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে আমার জীবন অবশ্যই পরিবর্তিত হবে এবং আপনাদের জীবনেও পরিবর্তন আসবে\’\’।
তিনি রাজকীয় পরিবারের শোকের সময়কালের দৈর্ঘ্য সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবেন, যা এক মাস স্থায়ী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে ইউকে সরকার জাতীয়ভাবে ১০ দিনের শোক পালন করবে।
টেমস নদীর উপর অবস্থিত প্রাচীন রাজকীয় দুর্গ টাওয়ার অফ লন্ডন থেকে সেন্ট্রাল লন্ডনের হাইড পার্ক জুড়ে রানীর জীবনের প্রতি বছরের জন্য এক রাউন্ড করে গান স্যালুটের মাধ্যমে রানীর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে।
ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবে, সেন্ট পলস ক্যাথেড্রাল এবং উইন্ডসর ক্যাসেলসহ অন্যান্য স্থানে গির্জার ঘণ্টা বাজবে এবং ইউনিয়ন পতাকা অর্ধনমিতভাবে রাখা হবে।
ট্রাস এবং অন্যান্য সিনিয়র মন্ত্রীরা সেন্ট পলস-এ একটি গণ স্মরণ সভায় যোগ দিতে প্রস্তুত হচ্ছেন এবং ইউকে পার্লামেন্ট রানীকে শ্রদ্ধা জানাতে দুই দিনের বিশেষ অধিবেশন শুরু করবে।
১৯৫২ সালে দ্বিতীয় এলিজাবেথ ব্রিটিশ রাজত্বের রানী হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। তিনি এমন সময়ে মারা গেলেন যখন ব্রিটেন যুদ্ধজনিত অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা করার জন্য সরকার জরুরি আইন প্রণয়নের চেষ্টা করছে।