উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার রাজনৈতিক বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার (২৭ আগস্ট) দেশটির রাজধানী ত্রিপোলিতে একদিনের এই প্রাণঘাতী সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ২৩ জন। আহত হয়েছেন আরও বেশ কিছু মানুষ। রক্তপাত বন্ধে সব পক্ষকে অবিলম্বে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবারের সংঘর্ষে কমেডিয়ান মুস্তফা বারাত নিহত হন।
ত্রিপোলির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের সময় কমপক্ষে ২৩ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে তরুণ কমেডিয়ান মুস্তফা বারাকাও রয়েছেন বলে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
গত দুই বছর ধরে দেশটিতে শান্ত পরিস্থিতি থাকলেও শনিবার সন্ধ্যা থেকে হঠাৎ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সশস্ত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। রাস্তায় নেমে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের সশস্ত্র বাহিনী ফাথি বাশাঘার অনুগত মিলিশিয়াদের একটি বহরকে পেছনে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। দীর্ঘ রাজনৈতিক অচলাবস্থার জেরে লিবিয়ার আবারও অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে।
এদিন রাজধানীতে বিভিন্ন এলাকায় গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। এতে ত্রিপোলির জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।জরুরি পরিষেবাগুলো বলছে, সংঘর্ষের কবল থেকে বাদ যায়নি হাসপাতালও। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে বেসামরিক লোকজনকে সরিয়ে নেয় নিরাপত্তা বাহিনী।
২০১১ সাল থেকে লিবিয়ায় রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে। ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে বিবদমান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রায় সময় উত্তেজনা লক্ষ্য করা যায়। গত ডিসেম্বরে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কথা থাকলেও তা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ায় সংকট বেড়েছে। ফেব্রুয়ারিতে পূর্বাঞ্চলভিত্তিক পার্লামেন্টের সমর্থনে ফাতিহ বাশাঘা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের পর উত্তেজনা আরও বাড়ে।
সংবাদ সূত্রঃ বিবিসি, আল জাজিরা