মরু অঞ্চল কাঁপিয়ে ইরানের ড্রোন পরীক্ষায় ইসরাইলের উদ্বেগ

ইরান ড্রোন নিয়ে সামরিক সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। বিভিন্ন ধরনের ড্রোন দিয়ে এই মহড়া চলে মরু অঞ্চল এবং সাগরে। তেহরান বলছে, শত্রু আক্রমণ ঠেকানোর পাশাপাশি যেকোনো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এসব চালকহীন বিমান। এদিকে, এই মহড়ায় ইসরাইল উদ্বেগ জানিয়েছে।

একের পর এক ড্রোন হামলায় প্রকম্পিত হয়েছে ইরানের মরু অঞ্চল। কোনোটি থেকে ছোড়া হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র। আবার কোনোটি নিজেই বিস্ফোরিত হচ্ছে লক্ষ্যবস্তুতে। যুদ্ধজাহাজ থেকেও চালনা করা হয়েছে ড্রোন। আক্রমণ চালানো হয়েছে কাল্পনিক শত্রু অবস্থানে। ইরানের অস্ত্রাগারে রয়েছে গাজা, কামান, সেইগেহর মতো বিভিন্ন ধরনের ড্রোন। কোনোটি ব্যবহৃত হয় হামলার জন্য। আবার কোনটি দিয়ে চালানো যায় নজরদারির কাজ।

ইরানের স্থল বাহিনীর সমন্বয়নক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির হায়দারি বলেছেন, যুদ্ধ এবং প্রতিরোধের জন্য সবচেয়ে কার্যকর অস্ত্র হলো ড্রোন। এটা ভবিষ্যতের অস্ত্র। ড্রোন নিয়ে আমাদের সক্ষমতা এই অবস্থায় পৌঁছেছে যে, যেকোনো হামলাকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম ইরান।

এদিকে, ড্রোন নিয়ে মহড়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন ইসরাইল। ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গানৎজ বলেছেন, ইরানকে ঠেকাতে এবং তেহরান কর্তৃক পরিচালিত বিভিন্ন ছায়াযুদ্ধ বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল সম্পর্কন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে দেশটির সাম্প্রতিক বিভিন্ন পদক্ষেপ আমাদের জন্য বড় হুমকি সৃষ্টি করেছে। সে কারণেই মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডে আমার এই জরুরি সফর।

এর আগে, সামরিক প্রশিক্ষণে ইরানের ড্রোন ব্যবহার করছে রাশিয়া; এমন অভিযোগ জানায় যুক্তরাষ্ট্র।

সংবাদ সূত্রঃ দ্য ডন পত্রিকা

Scroll to Top