পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় এখন পর্যন্ত ৯৩৭ জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে ৩৪৩ জনই শিশু। এ ছাড়া ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে প্রায় তিন লাখ মানুষ। আজ শুক্রবার দেশটির শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দুর্যোগ কবলিত এলাকা ও সেখানকার জনগণের বর্তমান পরিস্থিতিকে মারাত্মক জলবায়ু সংকট বলে উল্লেখ করে শাহবাজ শরীফের প্রশাসন। একই সঙ্গে ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, অবিরাম বর্ষণে দেশটিতে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে নাজুক পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে বেলুচিস্তান ও সিন্ধু প্রদেশে। অঞ্চল দুটির হেক্টরের পর হেক্টর জমি পানির নিচে। সেখানে প্রবল বৃষ্টি ও বন্যার কারণে কয়েক হাজার মানুষ আটকা পড়েছেন।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) জানিয়েছে, গত ১৪ জুন থেকে শুরু হওয়া বন্যায় শুধু সিন্ধু প্রদেশেই ৩০০’র বেশি মানুষ মারা গেছে। এর মধ্যে বেলুচিস্তানে ২৩৪, খাইবার পাখতুনখোয়ায় ১৮৫ ও পাঞ্জাবে ১৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজাদ জম্মু-কাশ্মীরে মারা গেছে ৩৭ জন। মৃত্যুর খবর এসেছে গিলগিট-বালতিস্তান থেকেও। সবগুলো অঞ্চলে ভারি বৃষ্টির কারণে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে।
এনডিএমএ আরও জানায়, চলতি মাসে পাকিস্তানে ১৬৬ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২৪১ শতাংশ বেড়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সিন্ধু ও বেলুচিস্তানে মৌসুমী বৃষ্টি যথাক্রমে ৭৮৪ এবং ৪৯৬ শতাংশ বেড়েছে। ইতোমধ্যে সিন্ধুর ২৩টি জেলাকে দুর্যোগ আক্রান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। অব্যাহত বন্যায় আশ্রয়হীন মানুষগুলোকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিতে চেষ্টা করছে পাক সরকার। ইতোমধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সাহায্য করতে নাগরিকদের অনুদান দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সংবাদ সূত্রঃ ডন পত্রিকা