যুক্তরাষ্ট্রের হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ান সফরের সময় চীন যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তারই প্রতিক্রিয়ায় জো বাইডেন প্রশাসন বেশ উত্তেজনাকর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চীনের অন্যতম ‘শত্রুরাষ্ট্র’ ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে যাচ্ছে। সীমান্তবর্তী হিমালয় পর্বতমালায় হতে পারে ওই মহড়া। এলাকাটির প্রায় ১০০ কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে অবস্থিত ভারত-চীনের বিরোধপূর্ণ সীমান্ত।
স্থানীয় সময় গত শনিবার ভারতীয় এক সেনা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, আগামী অক্টোবরের মাঝামাঝি ভারতের উত্তরখণ্ডের অলি এলাকায় এই মহড়া হতে যাচ্ছে। এর পাশেই চীনের সঙ্গে দেশটির নিয়ন্ত্রণ রেখা। ১৯৬২ সাল থেকে দুই দেশই এই এলাকার মালিকানা দাবি করে আসছে।
২০২০ সালে একবার এই সীমান্ত নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিল ভারত আর চীনের সেনাবাহিনী। ওই সময় ভারত দাবি করে, তাদের ২০ সেনা নিহত হয়েছে। চীন বলেছিল, চার সেনা নিহত হয়েছিল তাদের।
টানটান উত্তেজনার মধ্যে সম্প্রতি তাইওয়ানে সফরে যান ন্যান্সি পেলোসি। গত ২৫ বছরের মধ্যে এই প্রথমবার সেখানে সফরে গেলেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কেউ।
এ নিয়ে অবশ্য আগে থেকেই উদ্বেগ দেখাচ্ছিল চীন। হুঁশিয়ারিও দেয়া হয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তাতে কান দেয়নি। এমন পরিস্থিতিতে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেয় তাইওয়ানকে নিজের অঞ্চল হিসেবে দাবি করা চীন।
বেইজিংয়ের কঠোর প্রতিক্রিয়া ও হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে স্বশাসিত দ্বীপটিতে পূর্বঘোষিত সফরে গিয়ে ন্যান্সি পেলোসি দেখা করেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন ও দ্বীপটির পার্লামেন্টের স্পিকারের সঙ্গে।পে
পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে তাইওয়ান ঘিরে সামরিক মহড়া চালায় চীন। ওই মহড়ার সময় বেইজিং তাইওয়ানের জলসীমায় ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে বলে অভিযোগ করেছে তাইপে প্রশাসন।
এসব নিয়ে প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে বরং তাইওয়ান ছাড়ার সময় পেলোসি দ্বীপটির পাশে থাকার ঘোষণা দিয়ে যান। তবে এবার তাদের সামরিক মহড়ার খবর কিছুটা হলেও উত্তেজনা বাড়াচ্ছে নতুন করে।
সংবাদ সূত্রঃ সিএনএন