লাহোরের আয়নাবাজার এলাকায় রয়েছে \’বাল্মিকী মন্দির\’ নামক পাকিস্তানের অন্যতম প্রাচীন হিন্দু মন্দির। এক খ্রিস্টান পরিবার বেআইনিভাবে ১২০০ বছরের পুরনো এই মন্দিরের দখল নিয়েছিল। দেশটির আদালতে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর মন্দিরটিকে পুনরুদ্ধারে করতে সক্ষম হয়েছে পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের উপাসনাগৃহগুলোর তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা ইভাকুই ট্রাস্ট প্রপার্টি বোর্ড (ইটিপিবি)।
এনডিটিভি ও সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন থেকে লাহোর শহরের ওই মন্দিরটি ট্রাস্টের মধ্যমে পরিচালিত হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ইভাকুই ট্রাস্ট প্রপার্টি বোর্ডের মুখপাত্র আমির হাসমি বলেন, মন্দির পুনরুদ্ধার হয়েছে। আগামী দিনে প্রাচীন মন্দিরটিকে ভগ্ন অংশ সারিয়ে তোলার ইচ্ছে রয়েছে, সুষ্ঠুভাবে মন্দির পরিচালনা নিয়ে একাধিক পরিকল্পনা রয়েছে ট্রাস্টের।
জানা গেছে, বছর কুড়ি আগে বাল্মিকী মন্দিরের দখল নেয় স্থানীয় একটি খ্রিস্টান পরিবার। নিজেদের ধর্মান্তরিত হিন্দু বলে দাবিও করেন তারা। ওই পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে কেবলমাত্র \’বাল্মিকী\’ বর্ণের হিন্দুদেরই ওই মন্দিরে প্রবেশের তথা পুজো দেওয়ার অনুমতি দিচ্ছিল। এর ফলে অসন্তুষ্ট ছিল শহরের সংখ্যালঘু হিন্দুরা। এর বিরুদ্ধে মামলা করে ইভাকুই ট্রাস্ট প্রপার্টি বোর্ড।
আদালতের নির্দেশ, এই মন্দির এবার থেকে দেখভাল করবে ট্রাস্টের সদস্যরা। আর সেখানে কারা পুজো দেবে কি-দেবে না, সেই বিষয়ে কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারবে না খ্রিস্টান পরিবারটি।
এদিকে পুনরুদ্ধারের পর গতকাল বাল্মিকী মন্দিরে জমায়েত করেন শ-খানেক হিন্দু সম্পদ্রায়ের মানুষ। উপস্থিত ছিলেন বেশকিছু শিখ ও ক্রিস্টান ধর্মগুরু। হিন্দুরা পুজো দেন মন্দিরে।
লঙ্গরের (খাবার) ব্যবস্থা হয় সকলের খাওয়া-দাওয়ার জন্য। উল্লেখ্য, রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ নিয়ে উত্তেজনার সময় লাহোরের এই বাল্মিকী মন্দিরে ভাঙচুর চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা।
সংবাদ সূত্রঃ এনডিটিভি ও সংবাদ প্রতিদিন