মেটাল ডিটেক্টরে ‘বিপ’ শব্দ হচ্ছিল কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা গেলো অন্তর্বাসের ধাতব হুক। সে জন্য গত রবিবার ভারতের কেরালার কোল্লাম জেলায় ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি এন্ট্রান্স টেস্ট (এনইইটি) দিতে যাওয়া ছাত্রীদের পরীক্ষায় বসার আগে অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, এক ছাত্রীর বাবা পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার পর পাঁচ নারীকে আটক করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে তিনজন ভুক্তভোগী ছাত্রীদের অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করেছিল।
কেরালার উচ্চশিক্ষামন্ত্রী আর বিন্দু ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) দিকে আঙুল তুলে সোমবার এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, এজেন্সির দিক থেকে এটা বিরাট বড় গাফিলতি। চূড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনতা।
ভারতের কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি লিখে ক্ষোভ জানিয়েছেন বিন্দু। যে সংস্থাকে ওই কেন্দ্রে পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন তিনি।
নারী নিরাপত্তাকর্মীরা অন্য ছাত্র ও পুরুষ পরীক্ষকদের সামনে ছাত্রীদের অন্তর্বাস খুলে স্টোররুমে রাখতে বাধ্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগকারী জানিয়েছেন, আপত্তি করায় তার মেয়েকে বলা হয়েছিল, কোনটা তোমার কাছে বড়? অন্তর্বাস নাকি পরীক্ষা?
সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাকেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এক ছাত্রীর বাবা বলেছেন, আমার মেয়ে ক্লাস এইট থেকে নিটের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু এর পরে ঠিকভাবে পরীক্ষা দিতে পারেনি।
ছাত্রীদের প্রায় ৯০ শতাংশ এমন হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। টাকার ব্যাগ, বেল্ট, টুপি, গয়না, জুতার ব্যাপারে এনটিএ-র নির্দেশিকা থাকলেও অন্তর্বাস বা হুকের ব্যাপারে কিছু উল্লেখ নেই বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
সংবাদ সূত্রঃ দ্য ওয়াল পত্রিকা