বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রে সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন সিনেটর, কংগ্রেসম্যানসহ বেশ কয়েকটি থিঙ্ক ট্যাঙ্কের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। গতকাল বুধবার অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সর্ম্পক গড়ে তুলতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের সদিচ্ছার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
এদিন সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কিন সিনেটর চাক শুমারের সঙ্গে দেখা করেন। বৈঠকে তিনি জাতির পিতার খুনি রাশেদ চৌধুরীর প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং এ বিষয়ে সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতার সহায়তা চান। এ ছাড়া হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য কংগ্রেসম্যান স্টিভ চ্যাবোটের সঙ্গেও দেখা করে একই ধরনের আলোচনা করেন তিনি। বৈঠক র্যাবের সাবেক ও বর্তমান ৭ কর্মকর্তার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহরের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
যুক্তরাষ্ট্রে সফরকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্কের আয়োজিত কয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এর মধ্যে রয়েছে ইউনাইটেড স্টেট ইনস্টিটিউট অফ পিস (ইউএসআইপি), সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (সিএসআইএস) এবং ন্যাশনাল ব্যুরো অফ এশিয়ান রিসার্চ (এনবিআর)।
থিঙ্ক ট্যাঙ্ক আলোচনায় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক আগামী ৫০ বছরে আরও সমৃদ্ধ হবে। তিনি মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক নীতির প্রচার ও সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টার বিস্তারিত আলোচনা করেন।
সফরকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউএস চেম্বার অব কমার্সের ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সঙ্গে ব্যবসায়িক সহযোগিতার বিষয়ে একটি বৈঠকে যোগ দেন। ব্যবসায়িক বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগে নিয়োজিত ২০টিরও বেশি মার্কিন কোম্পানির নির্বাহীরা। বৈঠকেদুই দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় তিনি বাংলাদেশের টেলিকম অবকাঠামো, ডিজিটাল অর্থনীতি, ওষুধ, ব্লু ইকোনোমি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, আর্থিক প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল পেমেন্ট খাতে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
যুক্তরাষ্ট্রে সফরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের একটি উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেছেন। এ ছাড়া তার সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ ও নাহিম রাজ্জাক এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।