যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাশিয়া বলছে, তাদের যে শক্তি আছে, তা দিয়ে বিশ্বের মহাপরাক্রমশালী দেশকেও যেখানে আছে, সেখানেই থামিয়ে দিতে পারবে। পশ্চিমারা রাশিয়াকে ভেঙে ফেলতে রুশবিদ্বেষী বুনো ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) রুশ নিরাপত্তা পরিষদের উপসচিব দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেন, রাশিয়াকে মাটিতে মিশিয়ে দিতে বিরক্তিকর রুশবিদ্বেষে উসকানি দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তাতে কাজ হবে না। সব দুর্বিনীতি শত্রুকে থামিয়ে দেওয়ার শক্তি রাশিয়ার আছে।
এর আগে দিমিত্রি মেদভেদেভ ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন। গেল ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালায় রাশিয়া।
এরপর রাশিয়ার রাজনৈতিক নেতা, কোম্পানি ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বিশ্বের অধিকাংশ অর্থনৈতিক সম্পর্ক থেকে রাশিয়াকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনে বিশেষ অভিযান অপরিহার্য ছিল। কারণ রাশিয়াকে হুমকি দিতে ইউক্রেনকে ব্যবহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনে গণহত্যা থেকে রুষভাষীদের রক্ষায় আমরা অভিযান চালাচ্ছি।
আর নিজের অস্তিত্বের জন্য লড়াইয়ের দাবি জানিয়েছে ইউক্রেন। গণহত্যার দাবি উড়িয়ে দিয়েছে তারা। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন অবক্ষয়ী ও কপট পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়ার অর্থনীতি ভালো যাচ্ছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
রাশিয়া বলছে, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর তারা পশ্চিমাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে চেয়েছিল। কিন্তু এখন আর তা সম্ভব হবে না। যে কারণে তারা চীনসহ অন্য শক্তিগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছে।