রবিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট চারদিনের জন্য রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান আফ্রিকা সফরে যান। এই সফরে কঙ্গো, সেনেগাল ও গিনি-বিসাউয়ের সরকার প্রধানের সঙ্গে এরদোগানের সাক্ষাত করার কথা ছিল। তবে ইউক্রেন সংকটের কারণে আফ্রিকা সফরের মাঝপথেই ফিরে আসছেন এরদোয়ান। বিষয়টি নিয়ে ন্যাটোর ডাকা জরুরী বৈঠকে যোগ দেবেন এরদোয়ান। আজ বুধবার এরদোগানের গিনি-বিসাউ যাওয়ার কথা ছিল।
ইউরোপে এমন যুদ্ধাবস্থার মধ্যে তুরস্কের এই প্রেসিডেন্ট তার দেশের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি ইউক্রেন কিংবা রাশিয়ার মধ্যে আপাতত কোনো দেশের পক্ষেই যাচ্ছেন না। তিনি দুই দেশকে আবারও আলোচনার টেবিলে বসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা ইউক্রেন বা রাশিয়া, কারও দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেব না। কারণ দুই দেশের সঙ্গেই আমাদের উচ্চ পর্যায়ের সম্পর্ক রয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে টিআরটি ওয়ার্ল্ডের।
এদিকে, উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে নিজ দেশের নাগরিকদের জরুরি ভিত্তিতে রাশিয়া ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ইউক্রেন। বুধবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া এক পরামর্শে বলা হয়, কোনো ইউক্রেনের বাসিন্দার রাশিয়া যাওয়া উচিত হবে না। আর যারা এখন রাশিয়ায় আছে তাদের দ্রুতই দেশে ফিরতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের দুই অঞ্চলকে স্বাধীন ঘোষণা করে সেখানে রুশ সেনা পাঠানোর নির্দেশের পর রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা। তাদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়াও বলেছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ কার্যত শুরু হয়ে গেছে, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা ‘পুরোপুরিভাবে’ শুরু হবে।
সংবাদ সূত্রঃ টিআরটি ওয়ার্ল্ড