চলতি মাসে উত্তর ভারতের হরিদ্বারে যে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মুসলিমদের হত্যা করার আহ্বান জানানো হয়েছিল, তার অন্যতম আয়োজক যাতি নরসিংহানন্দকে গতকাল শনিবার আটক করা হয়েছে। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার পর এ ঘটনায় আটক দ্বিতীয় ব্যক্তি তিনি। বিদ্বেষমূলক ভাষণের সে ঘটনায় প্রথমে আটক হন ধর্মান্তরিত হওয়া জিতেন্দ্র নারায়ণ সিং ত্যাগী (আগের নাম ওয়াসিম রিজভী)। হরিদ্বারে অনুষ্ঠিত ‘ধর্ম সংসদে’ (ধর্মসভা) তারা ধর্মীয় উগ্রবাদী বক্তব্য দিয়েছিলেন।
গেরুয়াধারী নরসিংহানন্দ গত দুই সপ্তাহে তার সুর পাল্টেছেন। প্রথমে বাহাদুরি করে তিনি বলেন, এক পুলিশ কর্মকর্তা তাদের পাশে থাকবেন। জিতেন্দ্র নারায়ণ আটক হওয়ার পরেই আবার পুলিশকে গালমন্দ করে বলেন, ‘তোদের সবাই মরবি।’ মুসলিমদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরা তথা হত্যাযজ্ঞ চালানোর আহ্বানের অভিযোগে দায়ের করা এজাহারে ১০ জনেরও বেশি অভিযুক্তের অন্যতম নরসিংহানন্দ।
পুলিশ চাপের মুখে সাধ্বী অন্নপূর্ণা নামের আরেক নারী ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের বিষয়েও খোঁজ নিচ্ছে। রাজনৈতিক মহল ও জনমনে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলেও বিদ্বেষমূলক সে বক্তব্যের প্রায় এক মাস পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার পরেই ওই ধর্মীয় নেতাদের আটক করা হয়। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট গত বুধবার উত্তরাখণ্ড সরকারকে এ বিষয়ে গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে ১০ দিনের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।