সপ্তাহান্তে তিন দিনের প্রবল বৃষ্টির ফলে মালয়েশিয়ার আটটি রাজ্যে সৃষ্টি হয়েছে মারাত্মক বন্যা। মালয়েশিয়ায় গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কারণে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং কয়েক হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি। এতে আংশিকভাবে ডুবে গেছে বেশ কয়েকটি শহর ও গ্রাম।
এদিকে মালয়েশিয়ার সরকার সময়মতো সতর্কতা জারি না করা এবং উদ্ধারকাজে ধীরগতির জন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
গত সোমবার পর্যন্ত, প্রায় ৫১ হাজার মানুষকে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই মালয় উপদ্বীপের পূর্ব উপকূলের পাহাং থেকে। বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলির মধ্যে পাহাং একটি।
এদিকে বিবিসি জানিয়েছে রাজধানী শহর কুয়ালালামপুরকে ঘিরে থাকা সমৃদ্ধ ও ঘনবসতিপূর্ণ রাজ্য সেলাঙ্গরও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, বিভিন্ন স্থাপনা সব পানির নিচে।
চলাচলের জন্য রাখা যানবাহনগুলোও অকেজো হয়ে আছে। মালয়েশিয়ার কর্মচঞ্চল নগরী সেলাঙ্গরের মানুষ এখন ছুটে বেড়াচ্ছেন আশ্রয়কেন্দ্রের খোঁজে।
স্থানীয় সময় গেলো শুক্রবার সকালে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় সেলাঙ্গর শহর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বুক সমান পানিতে চলাচল করতে হচ্ছে বন্যাকবলিতদের।
এরই মধ্যে নৌকায় করে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে স্থানীয়দের। এখন পর্যন্ত অঞ্চলটির ১৫ হাজারের বেশি মানুষকে প্রায় ১০০টিরও বেশি আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
সংবাদ সূত্রঃ বিবিসি