আফগান আকাশপথে ড্রোনের উড়াল বন্ধ না করলে যুক্তরাষ্ট্রকে পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি করে দিয়েছে তালেবান।
তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এভাবে ড্রোন উড্ডয়নের মধ্য দিয়ে সব আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
তালেবান বলছে, আফগানিস্তানে এসব ড্রোন অভিযান নিয়ে কাতারের রাজধানী দোহায় দেওয়া নিজেদের অঙ্গীকারও ওয়াশিংটন ভঙ্গ করছে। যে কোনো ধরনের নেতিবাচক পরিণতি থেকে বিরত রাখতে আন্তর্জাতিক অধিকার, আইন ও অঙ্গীকারের আলোকে আফগানিস্তানের সঙ্গে আচরণ করতে যুক্তরাষ্ট্রসহ সব দেশকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।
তবে এ নিয়ে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। গেল ৩০ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সব সেনাপ্রত্যাহার করা হয়েছে। এরপর সেখানে আল-কায়েদার পুনরুত্থান ও আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর শক্তিশালী হওয়া নিয়ে মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্বেগ রয়েছে। তারা বলছে, আফগানিস্তানের হুমকির জবাবে সীমান্তের বাইরে থেকে হামলা চালানোর সক্ষমতা বজায় রাখবে যুক্তরাষ্ট্র।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রযুক্তিভিত্তিক গোয়েন্দা নজরদারির ওপর নির্ভর করছে এই কৌশল। আফগানিস্তানের বাইরে থেকেই এ ক্ষেত্রে হামলা চালাতে হবে তাদের।
কিন্তু তালেবানের বিরোধিতার মুখে কীভাবে সেই কৌশল বাস্তবায়ন করা হবে, তা এখনো পরিষ্কার হওয়া সম্ভব হয়নি। যদিও অতীতে যুক্তরাষ্ট্রের যুক্তি ছিল, নিজের ভূখণ্ডের মধ্যে কোনো একটি গোষ্ঠী থেকে আসা হুমকি মোকাবিলায় কোনো দেশের সরকার অক্ষম কিংবা অনিচ্ছুক হলে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে এ রকম পদক্ষেপের ন্যায্যতা দেওয়া সম্ভব।
আইএসকেপিকে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান দুই পক্ষই শত্রু হিসেবে বিবেচনা করে আসছে। এ ক্ষেত্রে দুই পক্ষের মধ্যে সহযোগিতার সমঝোতা হতে পারে। এই জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তালেবান নিজের শক্তির ওপর অতিরিক্ত জোর দিচ্ছে। তারা আইএসকেপিকে উৎখাতের প্রতিজ্ঞা করেছে তারা।
গেল ২৬ আগস্ট তখনকার মাকিন নিয়ন্ত্রিত কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রাণঘাতী হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএসকেপি জঙ্গীরা। সম্প্রতি জালালাবাদেও তারা হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে।
তবে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, সীমান্তের বাইরে থেকে হামলা চালালে তাতে বেসামরিক প্রাণহানি অনেক বেশি হতে পারে। তার চেয়ে গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে স্থলবাহিনী শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে।
গেল ২৯ আগস্ট কাবুলে মার্কিন ড্রোন হামলায় সাতটি শিশুসহ ১০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এতে জঙ্গীদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র।
সংবাদ সূত্রঃ আলজাজিরা