সব বয়সীদের জন্য তথ্য প্রযুক্তিতে সমান অধিকার স্লোগান নিয়ে বিশ্বের সব দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ উদযাপিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস। বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন করোনা মহামারিতে প্রবীণদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রযুক্তিতে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা দরকার। আর চিকিৎসকরা জোর দিচ্ছেন, পারিবারিক এবং সামাজিক বন্ধন আরও দৃঢ় করার বিষয়ে।
২ মাস আগেই কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন মেরিনা ইসলাম দম্পত্তি। চিকিৎসায় শারীরিক সমস্যা কাটলেও রয়ে গেছে মানসিক ধকল। তবে উল্টো ছবি সালেহা বেগমের। ৯০ বছরের এই মানুষটি কোভিড আক্রান্ত হয়েও পরিবারের সহযোগীতায় ছিলেন মানসিকভাবে দারুণ সাহসী।
রাজধানীর পল্লবী এলাকার প্রবীণরা নিজেদের মাঝে সম্পর্ক বৃদ্ধি আর যোগাযোগের মাধ্যমে কোভিড মোকাবেলার চেষ্টা করছেন। সচেতন করছেন অন্যদেরও।
প্রবীণদের অধিকার নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছে বেসরকারি সংস্থা রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার রিক। কোভিড মোকাবেলায় প্রবীনদের সংঘবদ্ধ করার ওপর জোর দিলেন তারাও।
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে কোভিডে মৃত্যুবরণ করা মানুষের ৮০ ভাগেরই বয়স ৬০ বছরের বেশি। অন্যদিকে বিএসএমএমইউর পাবলিক হেলথ ও ইনফর্মেটিক্স বিভাগের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি ৪ জন বয়স্ক মানুষের ১ জনই ভুগছেন অপুষ্টিতে। আরও প্রায় ৬০ শতাংশ রয়েছেন অপুষ্টির ঝুঁকিতে। এর অন্যতম কারণ হিসেবে গবেষকরা চিহ্নিত করছেন মানসিক স্বাস্থ্যের দুরবস্থাকেই।
শহর কিংবা গ্রাম। প্রবীণরা যে যেখানেই থাকুক, জীবন সায়াহ্নে তাদের প্রতি ভালোবাসা আর মমত্ব নিয়ে সবারই এগিয়ে আসা উচিৎ বলে মনে করেন চিকিৎকরা।