আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের অধীনে নারীদের অধিকার হারানোর শঙ্কা রয়েছে। নতুন সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে নারী প্রতিনিধি রাখা হচ্ছে না যে, সেটির ইঙ্গিত আগেই দিয়েছেন গোষ্ঠীটির নেতারা। এছাড়া বিভিন্ন সেক্টরে নারীর উপস্থিতি থাকছে না বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় নিজেদের অধিকারের দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছেন আফগান নারীরা।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, \”আজ শুক্রবার আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বাইরে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন আফগান নারীরা। এর বাইরে কাবুলের বিভিন্ন স্থানেও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।\”
এ সময় প্রত্যেকের হাতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড শোভা পায়। সেগুলোতে লেখা- ‘নতুন সরকারের মন্ত্রীসভায় নারীর উপস্থিতি চাই’, ‘পুরুষের সমান নারীর অধিকার চাই’, ‘আমাদের কথা বলার স্বাধীনতা, আমাদের শক্তির ফল’।
এর আগে ১৯৯৬-২০০১ সালে তালেবান সরকারের অধীনে নারীদের অধিকার সম্পূর্ণ হরণ করা হয়। কেনো মেয়ে স্কুলে যেতে পারতো না, বাইরে কাজ করতে পারতো না। সবাইকে বোরকা ও হিজাব পরিধান করতে হতো এবং বাইর হতে হলে পরিবারের একজন পুরুষ সদস্যকে বাধ্যতামূলত সঙ্গে রাখা লাগতো। এছাড়া তাদের জোর করে বাল্যবিবাহ দিতো তালেবান শাসকগোষ্ঠী।
তবে তালেবান প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ইসলামি আইনের অধীনে তারা এবার নারীদের অধিকার নিশ্চিত করবে। যদিও সেটিতে এখনো বিশ্বাস করতে পারছেন না আফগান নারীরা।
গত মাসেই তালেবান নির্দেশ দিয়েছে, নারীরা যেন আপাতত ঘরে থাকে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, নারীদের সঙ্গে কীভাবে আচরণ করতে হয়, তা অনেক তালেবান সদস্য এখনো জানে না। তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরই নারীরা বাইরে কাজের সুযোগ পাবে।
সংবাদ সূত্রঃ বিবিসি