কাতারে তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান শের মোহাম্মদ আব্বাসের সঙ্গে ভারতীয় কূটনীতিকরা বৈঠক করেছেন। এ বৈঠক আজ মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) কাতারের ভারতীয় দূতাবাসে দেশটির রাষ্ট্রদূত দীপক মিত্তালের অনুরোধে অনুষ্ঠিত হয়।
দোহা থেকে সিএনএন নিউজ ১৮-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তালিবানদের অন্যতম শীর্ষ নেতা শের মহম্মদ আব্বাস স্টানিকজাই দাবি করেন, ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে কোনও রকম সহযোগিতা করবেন না তারা। শুধু তাই নয়, স্টানিকজাইয়ের দাবি, ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়তেই আগ্রহী তালিবানরা।
তালিবান সরকারের পররাষ্ট্রনীতিতে অগ্রাধিকার পাবে প্রতিবেশী সব দেশ সহ গোটা বিশ্বের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষা করে চলা। এমন কি, সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর আমেরিকা এবং ন্যাটো-র সদস্য দেশগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক তাদের সুসম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেছেন তালিবানদের অন্যতম শীর্ষ নেতা।
তিনি বলেন, \’আমার মতে ওদের ফিরে এসে আফগানিস্তানের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া উচিত৷ ভারতের ক্ষেত্রেও একই নীতি প্রযোজ্য। আমরা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সংস্কৃতি এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলায় আগ্রহী। শুধু ভারত নয়, তাজিকিস্তান, ইরান, পাকিস্তান সবার সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তুলব আমরা।\’
স্টানিকজাই দাবি করেছেন, তালিবানরা পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলিকে ভারতের বিরুদ্ধে মদত দেবে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে যে আশঙ্কা করা হচ্ছে তা অমূলক৷ তার ভাষ্যমতে \’আমরা কখনওই এ রকম কিছু বলিনি বা এমন কোনও ইঙ্গিতও করা হয়নি আমাদের পক্ষ থেকে।\’
আফগানিস্তানের সম্ভাব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য বলেছেন, কাবুল বিমানবন্দরের বিস্ফোরণের সঙ্গে হাক্কানি নেটওয়ার্কের কোনও যোগ নেই। তার দাবি, ইরাকের আইসিস এবং লেভান্ত জঙ্গি গোষ্ঠী মিলিয়ে এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
তিনি নির্ভয় দিয়ে বলেন, যে আফগান এবং শিখরা এই মুহূর্তে আফগানিস্তানে রয়েছেন তাদের আতঙ্কিত হয়ে দেশ ছাড়ার কোনও প্রয়োজন নেই। আফগানিস্তান তাদের নিজস্ব জায়গা। সবাই এখানে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করতে পারবে। কেউ এদের কোনও ক্ষতি করবে না৷ তারা যেমন এতদিন আফগানিস্তানে ছিলেন, এখনও সেভাবেই বসবাস করতে পারেন।
সংবাদ সূত্রঃ সিএনএন/ নিউজ ১৮