পুরোপুরি তালেবানের নিয়ন্ত্রণে এখন আফগানিস্তান। ফলে দেশটির বাসিন্দারা এখন যে যেভাবে পারছেন পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন। রাজধানী কাবুল বিমানবন্দরে মরিয়া হয়ে বিমানে ওঠার চেষ্টা করছেন দেশটির অনেক মানুষ। তুমুল হুড়োহুড়ির এক পর্যায়ে সেখানে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে। মৃত্যু হয়েছে অন্তত দশ জনের।
তবে এর মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে উড়ন্ত বিমান থেকে খসে পড়ে। তবে কেউ কেউ বলছেন, বিমানের চাকা ধরে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তারা। কিন্তু বিমানটি উড্ডয়নের পর মাঝ আকাশ থেকে পড়ে তাদের মৃত্যু হয়।
সোমবার কাবুল বিমানবন্দরের এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, কয়েকশো মানুষ প্রাণপণে বিমানে ওঠার চেষ্টা চালাচ্ছেন। ছুটছেন বিমানের পাশে। বিমানের চাকা গড়াতে শুরু করার পরেও তাঁদের কেউ কেউ বিমানের জানালা আঁকড়ে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছেন। সম্ভবত, সে সময়ই ওই দু’জন বিমানের চাকা আঁকড়ে ধরেছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, কাবুল বিমানবন্দরে বিমান থেকে পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। কে আগে উঠবেন, তা নিয়ে ধাক্কাধাক্কিতেও একাধিক মৃত্যু হয়েছে। বিমানের রেলিংয়ে ঝুলেই দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছেন অনেকে। কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দর এখন লোকে লোকারণ্য। এখনও অসংখ্য মানুষ সেখানে বিমানের আশায় ছুটে বেড়াচ্ছেন। তবে বিদেশি নাগরিক ও কূটনীতিকরাই বিমানে উঠছেন বেশি। সাধারণ আফগানদের মধ্যে এ নিয়ে উদ্বেগ আরও বাড়ছে।
কাবুল থেকে কর্মীদের সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ সব পশ্চিমা দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সোমবার সকালের দিকে ভিড় সরাতে মার্কিন সেনারা আকাশে ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। রয়টার্স বলছে, হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
সংবাদ সূত্রঃ রয়টার্স