তুমুল লড়াইয়ে দেশের অধিকাংশ প্রাদেশিক রাজধানী দখলে নেওয়ার পর তালেবানের পতাকা উড়ছে আফগানিস্তানের রাজধানীতেও। দেশ তালেবানের দখলে চলে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে সহযোগিতা পাওয়া আফগান নাগরিকদের সময় কাটছে আতঙ্কে। সাধারণ নাগরিকরাও রয়েছেন ভয়ের মধ্যে। তাদের মধ্যে যারা দেশ ছাড়তে চান তাদের যেন কোনো বাধা দেওয়া না হয় সে বিষয়ে তালেবানের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ ৬৫ দেশ। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার এ আহ্বান জানানো হয়।
যদি কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে তবে এর জন্য তালেবানকে জবাবদিহি করতে হবে বলে দেশগুলোর পক্ষ থেকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
টুইটারে এক পোস্টে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও চায় যেসব আফগান এবং বিভিন্ন দেশের নাগরিক যারা আফগানিস্তান ছাড়তে ইচ্ছুক তাদের যেন বাধা দেওয়া না হয়। ওই টুইটে আফগানিস্তান বিষয়ে একটি যৌথ বিবৃতি যুক্ত করে দেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, আফগানিস্তান জুড়ে যারা ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের পদে রয়েছেন মানুষের জীবন রক্ষার ক্ষেত্রে তাদের দায়িত্ব রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর রোববার জানিয়েছে, কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে কাবুলে ওয়াশিংটনের দূতাবাস সম্পূর্ণ খালি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস এক বিবৃতিতে বলেন, কাবুলের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সব কর্মকর্তাকে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাখা হয়েছে। এ এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা।
দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করছে যুক্তরাষ্ট্র। তালেবান দেশটির ৩৪টির মধ্যে অধিকাংশ প্রদেশের রাজধানীর দখলে নিয়েছে। সর্বশেষ কাবুলে ঢোকার পর প্রেসিডেন্ট প্যালেসও দখলে নেয় গোষ্ঠীটি। এখন তারা দীর্ঘদিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির ক্ষমতা বুঝে নেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
সংবাদ সূত্রঃ এনডিটিভি