ইহুদিবাদীদের আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে বার বার গ্রেফতার হয়েছেন একজন নারী। ছাড়া পেয়ে রাস্তায় নেমে আবার প্রতিবাদে যোগ দেন। সাহসী সেই ফিলিস্তিনি নারীর নাম হানাদি হালাওয়ানি। জেরুজালেমে পবিত্র মসজিদ আল-আকসায় ইহুদিবাদীদের আগ্রাসনের প্রতিবাদ করে তিনি এ পর্যন্ত ৬০ বার ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন।
ইসরাইলি বাহিনী ফিলিস্তিনের এই বীর নারীকে গ্রেফতার করেও দমাতে পারেনি। কট্টরপন্থি ও বর্ণবাদী উগ্রবাদী ইহুদিদের হাত থেকে পবিত্র আল-আকসাকে রক্ষার জন্য ফিলিস্তিনি নারীদের নিয়ে গঠিত সংগঠন ‘মুরাবিতাত’ এর নের্তৃত্ব দিচ্ছেন এ অদম্য সাহসী নারী। দখলদার ইসরাইলের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক এ বীর ফিলিস্তিনি নারী। ইসরাইলি পুলিশের তালিকায় সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ফিলিস্তিনি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে হানাদি হালাওয়ানিকে। বারবার গ্রেফতার ও নির্যাতন করেও ইসরাইল তাকে দমাতে পারেনি। প্রতিবারই জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আল-আকসার জন্য আবারও আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তিনি।
তাকে জেরুজালেমের আল-আকসায় ইসরাইল সরকার নিষিদ্ধ করেছে। তার সঙ্গে আরেক অদম্য ফিলিস্তিনি নারী খাদিজা খুইজও আল-আকসাকে মুক্ত করার আন্দোলনে গিয়ে ২৮ বার গ্রেফতার হয়েছেন ইসরাইলি বাহিনীর হাতে। আটকের পর এসব মুরাবিতাতের সদস্যদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায় ইসরাইলি বাহিনী। ইসরাইল সেনারা যখন-তখন জুতা পরে এবং অস্ত্র নিয়ে পবিত্র আল-আকসায় প্রবেশ করায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ফিলিস্তিনি এসব নারীরা। পুরুষদের পাশাপাশি তারাও কঠোর আন্দোলনে শরিক হন।
এসব নারী আন্দোলনকারীরা ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধেও সোচ্চার। ইসরাইলি বাহিনীর গ্রেফতার ও নির্যাতন উপেক্ষা করেই বছরের পর বছর ধরে দেশ মাতৃকা ও পবিত্র আল-আকসার জন্য লড়ে যাচ্ছেন বীর এসব ফিলিস্তিনি নারীরা।
সংবাদ সূত্রঃ আরব নিউজ, ডন ডটকম