প্রতি বছরই ডেরায় ধুমধাম করে দীপাবলি পালন করতেন। কিন্তু এবার কেটেছে একেবারেই অন্যভাবে। না আছে সেই জৌলুস, না আছে সেই আনন্দ-উচ্ছ্বাস। উল্টো অম্বালার জেলের ১১ নম্বর সেলে নির্জনে কাটছে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের বিতর্কিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের কথিত পালিত কন্যা হানিপ্রীত ইনসানের।
জেলখানা সূত্রে জানা গেছে, এদিনে জেলে তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন বাবা-মা, ভাই, বোন ও ভাইয়ের স্ত্রী। তাদের দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন হানিপ্রীত। জেলের ইন্টারকমে হানির সঙ্গে তাদের প্রায় ৩৫ মিনিট ধরে কথোপকথন চলে। দেখা করতে এসেছিলেন তার আইনজীবীও। কিন্তু তার দেখা করার অনুমতি মেলেনি। সাক্ষাৎকালে পরিবারের সদস্যরা তাকে এক বক্স মোমবাতি ও মিষ্টি দিয়েছেন। প্রথমে হানি এসব নিতে অস্বীকার করলেও জোরাজুরির নেন।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, জেলে আসার পর থেকেই বিষণ্ণ হানিপ্রীত। প্রথম রাতটা প্রায় না খেয়ে ও না ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন। রাম রহিম দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর পঞ্চকুলা এলাকায় সহিংসতা ছড়ানো ও রাম রহিমকে নিয়ে পালানোর পরিকল্পনা করার অভিযোগ রয়েছে হানির বিরুদ্ধে। এছাড়া আরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
সম্প্রতি রাজস্থানের গুরুসার মোদিয়া থেকে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তির নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তাদের দাবি, এসব হানিপ্রীতের। মুম্বাই, দিল্লি, হিমাচলপ্রদেশ, পঞ্জাবসহ আরও বেশ কয়েকটি জায়গায়ও তার বেনামী সম্পত্তি রয়েছে বলে পুলিশের ধারণা।
দুই অনুসারীকে ধর্ষণের দায়ে আগস্টে গুরমিত রাম রহিম সিংকে দোষী সাব্যস্ত করেন দেশটির একটি আদালত। এরপর সিরসা ও পঞ্চকুলায় রাম রহিম অনুসারীদের চালানো সহিংসতায় অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়। এ সহিংসতা ছড়ানোর পেছনে অন্যতম অভিযুক্ত হানিপ্রীত ইনসান। এরপর থেকেই গা ঢাকা দেন তিনি। পরে রাষ্ট্রদোহিতার মামলা করা হয় তার বিরুদ্ধে। জারি করা হয় লুকআউট নোটিশও। অবশেষে গত ৩ অক্টোবর গ্রেফতার হন হানি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, ২০ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/কেএসপি