সমাজের প্রচলিত ধারণা ভেঙে দিলো ছোট্ট মেয়ের হোমওয়ার্ক

হোমওয়ার্কের প্রশ্নপত্রে থাকা লিঙ্গ বৈষম্যমূলক প্রশ্নের একেবারে যোগ্য জবাব দিয়েছে যুক্তরাজ্যের ছোট্ট মেয়ে ইয়াসমিন, তাও আবার প্রশ্নপত্রেই। এক প্রশ্নের জবাবেই সে ভেঙে দিলো সমাজে মেয়েদের অবস্থান নিয়ে প্রচলিত গৎবাঁধা ধারণা বা স্টেরিওটাইপ।

হোমওয়ার্ক বা বাড়ির কাজে শূন্যস্থান পূরণের প্রশ্নে বলা হয়েছিল, ‘hospital lady’ বা হাসপাতালে কর্মরত নারীর প্রতিশব্দ হিসেবে এমন একটি পেশার নাম লিখতে, যেখানে ‘ur’ বর্ণ দু’টো একসঙ্গে থাকবে।

স্বাভাবিকভাবেই সমাজে ‘ধরে নেয়া’র প্রবণতা রয়েছে, হাসপাতালে পুরুষ কাজ করলে তিনি হবেন ডাক্তার, আর নারী হলে নার্স। তাই এই প্রশ্নের জবাব হিসেবে ‘nurse’ শব্দটিই ঠিক করা ছিল।

কিন্তু ইয়াসমিন পেশাগত বৈষম্যমূলক সেই ধারণাকে একবারে উড়িয়ে দিয়ে জবাবের জায়গায় লিখল ‘surgeon’ বা শল্য চিকিৎসক। ইয়াসমিনের বাবা-মা দু’জনেই হাসপাতালে সার্জন হিসেবে কর্মরত। তাই তার মাথায় প্রচলিত স্টেরিওটাইপ বা গৎবাঁধা চিন্তাধারা জায়গা করে নিতে পারেনি।

ইয়াসমিনের শিক্ষক অবশ্য খাতা দেখার সময় তার উত্তরটিকে ঠিক বলে ধরে নিয়েছেন। কিন্তু তারপরও পুরনো ধারণা থেকে বের হতে পারেননি তিনি। তাই ইয়াসমিনের উত্তরের পাশে লাল কালি দিয়ে লিখে দিয়েছেন ‘অথবা নার্স’ (or nurse)।
\"\"
ইয়াসমিনের হোমওয়ার্ক অ্যাসাইনমেন্টের ছবি তুলে তার বাবা সামাজিক মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে পোস্ট করেছেন। তিনি তার মেয়ের জবাবে গর্বিত।

হোমওয়ার্কের ছবিটি রিটুইট হয়েছে অসংখ্যবার। সবাই প্রশংসা করেছেন মাত্র শব্দ বানান করতে শেখা ছোট্ট ইয়াসমিনের বুদ্ধি ও মানসিকতার। এক টুইটার ব্যবহারকারী তো ছবিটি এডিট করে সেখানে ১০ এ ১০ নম্বরও বসিয়ে দিয়েছেন। লিখেছেন, ‘১০/১০, ভালো উত্তর’।
\"\"
পুরুষ নার্সরাও ইয়াসমিনের উত্তরটিকে সমর্থন করে টুইট করেছেন। তাদের বক্তব্য, পুরুষও তো হাসপাতালের নার্স হয়, অথচ সমাজে তাদের পেশাগত সংখ্যালঘু ধরা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, ১৯ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসএফ

Scroll to Top