আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সই ভবিষ্যতের যুদ্ধ-কৌশল!

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের উপর নির্ভর করে হবে ভবিষ্যত যুদ্ধ। এমনই মনে করছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস। যুদ্ধাস্ত্র নয়, সেনাবাহিনীও নয়, ভবিষ্যত যুদ্ধ হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে। বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলি বিপুল অর্থ খরচ করছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স তৈরির কাজে।

ডয়েচে ভেলের একটি তথ্যচিত্রে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। তার বক্তব্য, ভবিষ্যতের যুদ্ধ শুধুমাত্র আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের উপরে দাঁড়িয়েই হবে। জাতিসংঘের সাবেক যুদ্ধবিষয়ক বিশেষজ্ঞ আমনদীপ সিং জানিয়েছেন, ভবিষ্যতের যুদ্ধক্ষেত্রের সংজ্ঞাই বদলে যাবে। সেনা এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে যে বিভাজন তৈরি করা হয় যুদ্ধের সময়, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের যুদ্ধে সেই বিভাজন ভেঙে যাবে।

নিরাপত্তা পরিষদের সাম্প্রতিক রিপোর্টেও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের কথা বলা হয়েছে। বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলি কী ভাবে নিজেদের তৈরি করছে, সে বিষয়েও লেখা হয়েছে রিপোর্টে।

আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের যুদ্ধে এবার আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করা হয়েছে। আজারবাইজান ড্রোনের সাহায্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে বোমা ফেলেছে আর্মেনিয়ায়।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সাহায্যে ড্রোনকে প্রোগ্রাম করে দেওয়া হয়। বোমা নিয়ে ড্রোন ঘুরতে থাকে আকাশে। টার্গেট পেলে তখন ড্রোন নির্দিষ্ট লক্ষ্যে বোমা বর্ষণ করে।

চীনের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রচুর অর্থ খরচ করা হচ্ছে। এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও ২০১৭ সাল থেকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের গবেষণার জন্য বিপুল অর্থ খরচ করতে শুরু করেছেন।

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস জানিয়েছেন, দেশগুলি যেভাবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে যুদ্ধের গবেষণায় ব্যবহার করছে, তাতে অচিরেই শক্তিসাম্য নষ্ট হবে। যুদ্ধের আবহ তৈরি হবে।

Scroll to Top